এমন কোনও চুক্তি যদি হয়েও থাকে এবং তা যদি দেশটির নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরদারি এড়িয়ে যায় তবে কোয়ালকমের জন্য এটি অনেক বড় অভ্যুত্থানের বিষয় হবে।
Published : 21 Sep 2024, 02:44 PM
বিশ্বে মাইক্রোচিপ বাজারে যখন অসম্ভব প্রতাপশালী অবস্থানে ইনটেল, যে সময়ে পিসি মানেই ভাবা হতো ইনটেলের প্রসেসর, সে সময়ে নেহাতই ছোট খেলোয়াড় ছিল কোয়ালকম। সাধারণত মডেমের সঙ্গেই তাদের নাম উঠে আসত। দিন বদলে যাওয়ায় সেই ইনটেলকেই কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে এক সময়ের ছোট খেলোয়াড়।
সম্ভাব্য এ অধিগ্রহণ নিয়ে এখনকার চিপ জায়ান্ট কোয়ালকমের পক্ষ থেকে ইনটেলের সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানিয়েছে, এই দুই চিপ জায়ান্টের মধ্যে যে কোনো চুক্তি ‘সিদ্ধান্ত গ্রহণের থেকে এখনও অনেক দূরে’ হলেও বিষয়টি এমন এক কোম্পানির জন্য ভয়ানক পতনের গল্পই শোনাবে, যা একসময় ছিল বিশ্বের এক নম্বর ও সবচেয়ে প্রভাবশালী চিপ কোম্পানি।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এই প্রতিবেদনটিকে সমর্থন করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। তবে, প্রতিবেদনে তারা আরও জুড়ে দিয়েছে, “ইনটেলের জন্য এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব আনেনি কোয়ালকম।”
এমন কোনও চুক্তি যদি হয়েও থাকে এবং তা যদি দেশটির নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরদারি এড়িয়ে যায় তবে কোয়ালকমের জন্য এটি অনেক ‘বড় ক্যু’র মতো বিষয় হবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট ভার্জ।
কারণ, মোবাইল প্রসেসর বাজারে বছরের পর বছর আধিপত্য ধরে রাখার পর মাইক্রোসফটের এআই পিসি কৌশলের অংশ হিসেবে এ বছর ডেস্কটপ প্রসেসরের বাজারে পুনরায় প্রবেশ করেছে কোম্পানিটি।
এদিকে বছরের পর বছর ধরে নড়বড়ে অবস্থানে রয়েছে ইনটেল। অনেক ব্যবসা এখনও লাভজনক পর্যায়ে থাকলেও কোম্পানিটির একশ ৬০ কোটি ডলার ক্ষতির কথা প্রতিবেদনে উঠে আসার পর এই অগাস্টে নিজেদের কৌশল পরিবর্তন ও ১৫ শতাংশেরও বেশি কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে ইনটেল।
সম্প্রতি দুই প্রজন্মের বিভিন্ন ফ্ল্যাগশিপ চিপে ক্র্যাশ দেখা দেওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ভাবা হচ্ছে এগুলোকে, যার ফলে পিসি গেইমারদেরও আস্থা হারিয়েছে ইনটেল।
এ ছাড়াও সিলিকন বিশ্বে নেতৃত্বে দেওয়ার বিষয়ে অনেক দুর্ভোগের মধ্যে আছে ইনটেল, যা কেবল উৎপাদন বা মুনাফার বিষয় নয়। পাশাপাশি বিভিন্ন এআই সার্ভারের জন্য চিপ উৎপাদনের ক্ষেত্রে এনভিডিয়া যেভাবে আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে ঠিক সেভাবে এখনও বড় খেলোয়াড় হয়ে উঠতে পারেনি কোম্পানিটি।
গেইমার ও নির্মাতাদের জন্য ইনটেলের নিজস্ব জিপিইউ তৈরির প্রচেষ্টাও এখনও সন্তোষজনক জায়গায় পৌঁছেনি।