“আমরা দুই বছর ধরে ভদ্র আচরণ করে আসছি, তবে এর বিনিময়ে স্রেফ ফাকা বুলি পেয়েছি। এখন এটা যুদ্ধ।”
Published : 07 Aug 2024, 02:48 PM
‘ষড়যন্ত্র করে সাইট বয়কট’ করার অভিযোগ তুলে বেশ কিছু শীর্ষস্থানীয় কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেছে ইলন মাস্ক মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স।
মামলার অভিযোগ, ফুড জায়ান্ট ইউনিলিভার ও মার্স, স্থাস্থ্যসেবা কোম্পানি সিভিএস হেলথ, নবায়নযোগ্য শক্তি কোম্পানি অরস্টেড এবং ‘ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অফ অ্যাডভারটাইজারস (ডব্লিউএফএ)’ নামের বাণিজ্যিক সংগঠন এক্স-এর ‘শত শত কোটি ডলারের’ বিজ্ঞাপনী আয় বন্ধ করেছে।
মামলাটি ২০২২ সালে মাস্কের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (তৎকালীন ‘টুইটার) অধিগ্রহণের পরের প্রেক্ষাপট সংশ্লিষ্ট, যখন থেকে মাইক্রোব্লগিং সাইটটির বিজ্ঞাপনী আয়ও কমতে শুরু করে।
বিবিসি বলছে, এর মধ্যে কিছু কোম্পানি প্ল্যাটফর্মটিতে বিজ্ঞাপন দেখানোর ক্ষেত্রে উদ্বিগ্ন ছিল কারণ সাইট থেকে ক্ষতিকারক কনটেন্ট সরানোর বিষয়ে মাস্ক ‘তেমন সিরিয়াস ছিলেন না’।
এক্স-এর প্রধান নির্বাহী লিন্ডা ইয়াকারিনো বলেছেন, “আইডিয়ার মার্কেটপ্লেস সংকুচিত করে দিলে মানুষ কষ্ট পায়। একটা ছোট অংশের কাছে একচেটিয়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে পারে না যে, কী ধরনের কনটেন্ট মনিটাইজ করা উচিৎ।”
মাস্ক এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, “আমরা দুই বছর ধরে ভদ্র আচরণ করে আসছি, তবে এর বিনিময়ে স্রেফ ফাকা বুলি পেয়েছি। এখন এটা যুদ্ধ।”
এ প্রসঙ্গে বিবিসি ডব্লিএফএ ও অন্যান্য অভিযুক্ত কোম্পানির মন্তব্য জানতে চাইলে তাৎক্ষনিক সাড়া মেলেনি।
‘অবৈধ বা ক্ষতিকারক কনটেন্টের চ্যালেঞ্জ’
মাস্কের কোম্পানি অধিগ্রহণের বছর এক্স-এর বিজ্ঞাপনী আয় কমেছে অর্ধেকের বেশি, যেখানে বিজ্ঞাপনদাতারা প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে চলে যেতে শুরু করেন।
মামলায় এক্স অভিযোগ তুলেছে, কোম্পানিগুলো অন্যায্যভাবে পয়সা খরচ বন্ধ করেছে, যেখানে তারা ডব্লিউএফএ’র ‘গ্লোবাল অ্যালায়ান্স ফর রেস্পন্সিবল মিডিয়া (গার্ম)’ উদ্যোগটির বিভিন্ন নিরাপত্তা মানদণ্ড অনুসরণ করেছে।
গার্মের উল্লেখিত লক্ষ্য হল, ‘ডিজিটাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অবৈধ বা ক্ষতিকারক কনটেন্টের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও সেগুলোতে দেখানো বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের মনিটাইজেশন ব্যবস্থা বন্ধ করা।”
এক্স-এর দাবি, এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলো নিজেই নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্টিট্রাস্ট আইনকে লঙ্ঘন করে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে।
তবে, যুক্তরাষ্ট্রের ‘ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস’-এর বারাক ওবামা অধীনস্থ অ্যান্টিট্রাস্ট বিভাগের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেক বিল বায়ের বলেছেন, মামলাটি সফল হওয়ার তেমন সম্ভাবনা নেই।