নির্দিষ্ট সময় পর কোম্পানির ব্যবসা থাকবে না, এটি জেনেও দেওয়া হয় অনুমোদন; ২০১০ সালের পর তোলা হয় এক হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা।
Published : 22 Mar 2023, 08:37 AM
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানির কেন্দ্রের ‘মেয়াদ’ শেষ হলে কী হবে, বিনিয়োগকারীদের সেই সংশয়ের সুরাহা এখনও বাকি; এরমধ্যে আরও কিছু কেন্দ্রের সময় যত ফুরাচ্ছে বাজারের বর্তমান অবস্থায় বিনিয়োগ নিয়ে দুশ্চিন্তাও বাড়ছে তত।
নতুন করে এসব কেন্দ্র থেকে সরকার বিদ্যুৎ কেনার মেয়াদ না বাড়ালে কোম্পানিগুলো কী করবে সেই পরিকল্পনা সুস্পষ্ট না হওয়ায় এগুলোর শেয়ারে সাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিপুল বিনিয়োগ অনিশ্চয়তার মুখে পড়ার বিষয়টি সামনে আসতে শুরু করেছে।
নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সরকার বিদ্যুৎ কিনবে এমন ‘মেয়াদি’ কেন্দ্র পরিচালনাকারী সাতটি কোম্পানির মধ্যে বছর দুয়েক আগে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (কেপিসিএল) দুটি কেন্দ্রের চুক্তি ফুরালে বিদ্যুৎ কেনা বন্ধ রাখে সরকার; তখনই আলোচনায় আসে বিষয়টি। সেসময় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির তোড়জোড়ে আরও কিছুদিন বিদ্যুৎ কিনতে সম্মতি দেয় সরকার; হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন বিনিয়োগকারীরা।
তবে বিদ্যুৎ কেনার নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হলে তালিকাভুক্ত এমন সব কোম্পানির ভবিষ্যৎ প্রশ্ন এখনও অমীমাংসিতই রয়ে গেছে।
রহমান আজিজ নামের এক বিনিয়োগকারী জানান, ২০২০ সালে কেপিসিএলের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আলোচনা শুরু হলে এটির শেয়ার কিনেছিলেন ৪৮ টাকা দরে। এখন বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস ২৬ টাকা ৬০ পয়সাতে বসিয়েও বিক্রি করতে পারছেন না।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “কী করব কিছুই জানি না। কোম্পানি কী করবে, সেটাও তো বলে না।”
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আশা করছে কোম্পানিগুলো ব্যবসায় বৈচিত্র্য আনবে।
কমিশনের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম এমন আশার কথা জানিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট্কমকে বলেন, “তাদের মেশিনারিজ আছে। জার্মান বা নরওয়ে বা এমন ইউরোপীয় দেশ থেকে যন্ত্রপাতি এনেছে। সরকারের তো বিদ্যুৎ লাগবে। কাজেই চুক্তি নবায়ন হবে, এটা আমাদের প্রত্যাশা। আর যদি নাও হয়, তাদের তো জমি, ভবন থাকবে। বিদ্যুৎ না হলে অন্য পণ্য বা সেবা আনবে।”
তবে ইতোমধ্যে চুক্তির সময় বাড়ানোর সুযোগ পাওয়া কেপিসিএল কিংবা বিদ্যমান চুক্তির মেয়াদ কমতে থাকা অন্য কেন্দ্র পরিচালনাকারী কোম্পানিগুলো এখন পর্যন্ত এ বিষয়ক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানায়নি।
এতে কোম্পানির ভবিষ্যতের কথা ভেবে আজিজের মত বিনিয়োগকারীরা চিন্তিত। কোম্পানির পক্ষ থেকে কোনো বার্তা দেওয়া না হওয়ায় অন্ধকারেও তারা।
এমন প্রেক্ষাপটে সাবেক তত্ত্বাবধায় সরকারের উপদেষ্টা ও বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলামের ধারণা এখন বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
“নির্দিষ্ট সময়ে ‘মেয়াদ’ শেষ হয়ে যাবে” এমন কোম্পানিকে টাকা তুলতে দেওয়া উচিত হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আর যে সময়ে অধিক সংখ্যক কোম্পানি নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে সেই সময়কার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খায়রুল ইসলামের কাছে প্রশ্ন ছিল এখন বিনিয়োগকারীর কী হবে?
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে তার জানা নেই।
অপরদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী পুরো বিষয়ে ‘উদাসীনতা ও পরিকল্পনার অভাব’ দেখছেন।
এক যুগে উত্তোলন পৌনে ২ হাজার কোটি টাকা
কার্যক্রম সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে বিদ্যুৎখাতে পুঁজির যোগান দিতে সময়ে সময়ে বিএসইসি এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী আটটি কোম্পানিকে শেয়ার ছেড়ে টাকা তোলার সুযোগ দেয়। এর মধ্যে ২০১০ সালের পর সাতটি সংগ্রহ করে এক হাজার ৮৭৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
প্রায় সব কোম্পানি পরিশোধিত মূলধনের চেয়েও বেশি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ার বিক্রি করে তোলে। এরমধ্যে একটি পরিশোধিত মূলধনের ছয়গুণেরও বেশি এবং আরেকটি আড়াইগুণের বেশি অর্থ উত্তোলন করে।
বর্তমান কমিশনের সময়ে অনুমোদন পেয়ে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ার বিক্রির সুযোগ পায়। এটিও তার পরিশোধিত মূলধনের প্রায় সমান টাকা তুলেছে। তালিকাভুক্তির পরই কোম্পানিটির ব্যবসা কমে গেছে। চলতি বছর লোকসানও দিয়েছে।
অনুমোদন দেওয়ার সময় কোম্পানিগুলোর কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে সরকারের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ছিল ৭ বছর, কোনোটির ১২ বছর, কোনোটির এর চেয়ে কম। ‘মেয়াদ’ নির্দিষ্ট হলেও বছর বছর বোনাস লভ্যাংশ দিয়ে শেয়ার বাড়িয়েছে বেশির ভাগই; চুক্তির সময় যত শেষের পথে যাচ্ছে কিছু কোম্পানির শেয়ারদর ইস্যু মূল্যের নিচেও নেমে গেছে।
আগামী জুনে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তির সময় শেষ হলে বিনিয়োগকারীদের কী হবে- বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এমন প্রশ্নে জিবিবি পাওয়ারের একটি কোম্পানির সচিব সাত্তার হোসেন কিছু বলতে রাজি হননি।
তিনি বলেন, “এটা নিয়ে ম্যানেজমেন্ট কাজ করছে। আর সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এটা নিয়ে বলবে। আমরা গণমাধ্যমকে বলতে পারি না। কারণ তা মূল্য সংবেদনশীল তথ্যের মধ্যে পড়ে যায়।”
এরই মধ্যে একটি কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং দুই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার মেয়াদ শেষে আরও দুই বছরের জন্য সুযোগ পাওয়া কেপিসিএল কী ভাবছে- এ প্রশ্নে পরিচালক লতিফ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এমডির বক্তব্য জানতে পারেনি।
‘ক্ষতি মেনে নিতে হবে বিনিয়োগকারীদের’
‘মেয়াদি’ বিদ্যুৎকেন্দ্রকে তালিকাভুক্তির বিষয়ে বিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এগুলো (বিদ্যুৎকেন্দ্র) অনুমোদন দেওয়ার সময় বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত ছিল।”
এ বিষয়ে নীতিমালা করার পরামর্শও দেন তিনি।
এখন বিনিয়োগকারীর কী হবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি স্বীকার করে নিতে হবে। এখন আর কিছু করা সম্ভব নয়।”
ডিএসইর বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কোম্পানির দায়িত্ব তার শেয়ারহোল্ডারদের যেন ক্ষতি না হয়, সেটি দেখা। কিন্তু তাদের কী কোনো পরিকল্পনা ছিল? যখন ‘মেয়াদ’ আর পাঁচ বছর বাকি ছিল, তখনই তো তাদের বিকল্প ভাবা উচিত ছিল। কোম্পানির ব্যবসা অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া। কিন্তু তা তো তারা করেনি।”
দেশের প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক এই সভাপতি মনে করেন, পুঁজিবাজার থেকে টাকা তোলার সুযোগ দেওয়ার বদলে বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোকে বন্ড ছেড়ে টাকা তোলার সুযোগ করে দেওয়া উচিত ছিল বা তারা ব্যাংক ঋণ নিতে পারত।
তিনি বলেন, “ক্যাপিটাল মার্কেট তো লং টার্ম ফাইন্যান্সিং। এটা তো ঋণ না যে আমি টাকা তুললাম, এরপর তা পরিশোধ করে দিলাম। টাকা তুললে বিনিয়োগকারীর স্বার্থ তো দেখা উচিত। এখান থেকে মূলধনের চেয়ে বেশি টাকা তুলে নিলাম। এরপর ব্যবসা করলাম, তারপর কোম্পানি বন্ধ করে দিলাম, তা তো হল না।”
কী হবে, ‘জানেন না’ সাবেক চেয়ারম্যান
পাঁচটি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিকে পুঁজিবাজার থেকে টাকা তোলার অনুমোদন দেওয়ার সময় বিএসইসির চেয়ারম্যান থাকা এম খায়রুল হোসেন দাবি করেছেন, সব কিছু বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমরা কোনো কুইক রেন্টাল কেন্দ্রকে অনুমোদন দেইনি; অনেক চাপ ছিল, কিন্তু দেইনি। আমরা দিয়েছি লংটার্ম কেন্দ্রগুলোকে। যেগুলোর ‘মেয়াদ’ আবার এক্সটেনশন হবে অটোমেটিক। খোঁজ খবর নিয়েই আমরা দিয়েছি, এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি।”
কিন্তু কেন্দ্রগুলো এখন তো বন্ধ হয়ে যাচ্ছ, বিনিয়োগকারীর কী হবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “এটা আমি জানি না। আমি কমেন্ট করতে পারব না। আপনি কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে কথা বলেন। কমিশনে আমি নেই। কিন্তু কমিশন চলমান প্রক্রিয়া।”
যা বলছে বিএসইসি
বিনিয়োগকারীদের উৎকন্ঠার বিষয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে ই মেইলে প্রশ্ন পাঠালে তিনি সংস্থার মুখপাত্র রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
নির্বাহী পরিচালক রেজাউলের প্রত্যাশা, সরকারের বিদ্যুৎ লাগবে বলে কোম্পানিগুলোর চুক্তি নবায়ন হবে। তা না হলে অন্য পণ্য বা সেবা আনার মাধ্যমে ব্যবসায় বৈচিত্র্য আনবে তারা।
‘মেয়াদি’ এমন কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আসার সুযোগ দেওয়া উচিত কি না- এমন প্রশ্নে তার ব্যাখ্যা, কোম্পানি যখন খোলা হয়েছে, তখন বলা হয়নি এটি ১৫ বছর বা কোনো নির্দিষ্ট সময় পরে বন্ধ হয়ে যাবে। তাই বিদ্যুৎ কোম্পানিকে অনুমোদন না দেওয়ার কিছু ছিল না।
এসব শেয়ারে বিনিয়োগ প্রসঙ্গে বিএসইসির মুখপাত্র বিনিয়োগকারীদের দায়িত্বের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “বিনিয়োগকারীদেরও দায় দায়িত্ব আছে। তারা যদি মনে করে ১২ বছর পর কোম্পানির কী হবে, তাহলে তারা বিনিয়োগ করবে না। যদি তারা বিনিয়োগ না করত এবং আইপিওতে ৩৫ শতাংশের কম আবেদন পড়ত, তাহলে আইপিও বাতিল হয়ে যেত, তা তো হয়নি।”
চুক্তি সময় শেষ হচ্ছে যেসব কেন্দ্রের
২০০৮ সালের ১৭ জুন বগুড়ায় ২২.৮০ মেগাওয়াট ক্ষমতার জিবিবি পাওয়ারের কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে চুক্তি করে সরকার, যেটির মেয়াদ ফুরোচ্ছে আগামী ১৭ জুন।
কেপিসিএলের একটি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি ফুরিয়েছে ২০১৮ সালে। ২০২১ সালের মে মাসে চুক্তি শেষ হওয়া আরও দুটি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার মেয়াদর বাড়ানো হয়েছে দুই বছর। ২০২৪ সালের পর কী হবে, তা এখনও জানায়নি কোম্পানি, ডিএসই কিংবা নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যদি চুক্তি না বাড়ে তাহলে সহযোগী একটি কোম্পানিতে মালিকানার অংশই থাকবে শুধু।
টাঙ্গাইল, নরসিংদী ও ফেনীতে ডরিন পাওয়ারের ২২ মেগাওয়াটের তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি শেষ হচ্ছে চলতি বছর। তবে ২০২২ সালের ১১ এপ্রিল চাঁদপুরে ১১৫ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্র চালু হয়েছে, যা থেকে সরকার বিদ্যুৎ কিনবে ১৫ বছর।
শাহজীবাজার পাওয়ারের ৮৬ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্র থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ কেনা হবে। এ কোম্পানির আরও দুটি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনছে সরকার।
বারাকা পাওয়ারের ৮৬ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি শেষ হবে ২০২৪ সালে। এরপর চুক্তি না বাড়লে সহযোগী কোম্পানির তিনটি কেন্দ্রের ২০ শতাংশের মালিকানার ওপর ভর করতে হবে তাদের।
সামিট পাওয়ারের তিনটি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি শেষ হয় ২০২১ সালে। পরে ‘ক্যাপাসিটি চার্জ ছাড়া’ দুই বছরের জন্য চালু হয় সেগুলো। ২০২৪ সালে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে জাঙ্গালিয়া-কুমিল্লার ৩৩ মেগাওয়াট, মাওনা-গাজীপুরের ৩৩, রূপগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জের ৩৩ ও উল্লাপাড়ার ১১ মেগাওয়াটের কেন্দ্র ছাড়া আরও তিনটির।
এগুলো থেকে কেনা বন্ধ হলেও কোম্পানিটির আরও অনেক কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনছে সরকার; যে কারণে এটির বিনিয়োগকারীদের দুশ্চিন্তা ততটা নয়।
ইউনাইটেড পাওয়ারের দুটি কেন্দ্র থেকে ৩০ বছর মেয়াদী বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি থাকায় এটির শেয়ারের বিনিয়োগকারীরা আরও সময় পাচ্ছেন। কোম্পানিটির ২০২২ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ কেনার চুক্তির মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া একটি কেন্দ্র নতুন করে ‘প্রাণ পেয়েছে’ পাঁচ বছরের জন্য। আর সহযোগী কোম্পানির তিনটি কেন্দ্র অধিগ্রহণ করেছে তারা।