বিএসইসি ও ডিএসইর দুই কমিটি কারিগরি ত্রুটির কারণ উদঘাটন করবে এবং কারো দায় আছে কি-না তা দেখবে।
Published : 08 Aug 2023, 06:23 PM
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রোববার শেয়ার লেনদেন নিষ্পত্তিতে জটিলতার কারণ উদঘাটনে দুটি কমিটি গঠন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এবং ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
কমিটি দুটি কারিগরি ত্রুটির কারণ খুঁজে বের করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের দায় থাকলে তা চিহ্নিত করবে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে করণীয় নিয়ে সুপারিশ দেবে।
সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার ডিএসইতে লেনদেন স্বাভাবিকভাবে হলেও নিয়ম অনুযায়ী লেনদেন নিষ্পত্তি করা যাচ্ছিল না। সেই জটিলতা কাটিয়ে লেনদেন নিষ্পত্তি শেষ হতে হতে পরদিন ভোর হয়ে যায়।
এ কাজে ব্যবহৃত ওএমএস (অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার) ও ফ্লেক্সট্রেড সফটওয়্যারে কারিগরি ত্রুটির কারণে সেদিন লেনদেন নিষ্পত্তিতে বিলম্ব হয় বলে সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায় ডিএসই।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিএসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগকে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কার্যপরিধি নির্ধারণের পর কমিটি গঠন করা হবে।
“লেনদেন নিষ্পত্তিতে সফটওয়্যারের কারিগরি ত্রুটির কারণ উদঘাটন করবে ওই কমিটি। সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়-দায়িত্ব কতটুকু ছিল তাও দেখবেন তারা।”
ডিএসইর তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেবেন স্বতন্ত্র পরিচালক রুবাবা দৌলা। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ডিএসইর সফটওয়্যারের কারিগরি ত্রুটির কারণ উদঘাটন করবেন তারা। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য সুপারিশও করবেন।”
ডিএসইর লেনদেনে বিভ্রাট ও কারিগরি ত্রুটির এমন ঘটনা নতুন নয়। গত ৪ জুলাই পরপর দুই দিন সার্ভারে জটিলতায় লেনদেন বিঘ্নিত হয় দেশের প্রধান এই পুঁজিবাজারে। শেয়ার বেচা-কেনায় সমস্যায় পড়তে হয় বিনিয়োগকারীদের।
ডিএসইর লেনদেন সফটওয়্যার ‘ওএমএস’ সিস্টেমে নতুন একটি সেবা মডিউল সংযোজন করতে গিয়ে ওই সমস্যা দেখা দিয়েছিল বলে সে সময় জানিয়েছিলেন ডিএসই চেয়ারম্যান হাফিজ মো. হাসান বাবু।
গত বছরের অক্টোবরের শেষ দিকে এক সপ্তাহে পরপর দুইবার কারিগরি ত্রুটির কবলে পড়ে ডিএসই। ওই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি বেশ কিছু সুপারিশও দিয়েছিল।