Published : 05 May 2025, 05:20 PM
প্রায় আড়াই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন দেখল দেশের বড় পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
সোমবার সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৮৪ কোটি টাকা। এদিন ৮ পয়েন্ট যোগ হয়ে প্রধান সূচক ডিসএসইএক্স দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৬৪।
আগের দিন লেনদেন হয় ৩৯৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা; সূচক ছিল ৪ হাজার ৯৫৬ পয়েন্ট।
ডিএসইতে এর আগে ৫৮৪ কোটির বেশি লেনদেন হয় ২৫ ফেব্রুয়ারি। সেদিন লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬০৭ কোটি টাকা; সূচক ছিল ৫ হাজার ২৬৭ পয়েন্ট।
সোমবার সকাল থেকেই সূচকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ছিল পুঁজিবাজারে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে হাতবদলের পরিমাণও।
শেষ বেলায় কিছুটা সংশোধন হলেও আগের দিনের চেয়ে ৮ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শেষ হয় লেনদেন।
গত মার্চের শুরু থেকে নেতিবাচক প্রবণতায় চলছে পুঁজিবাজার। লেনদেনের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা থেকে কমতে কমতে চারশ কোটি টাকার ঘরেই ছিল বেশির ভাগ সময়।
গত ১০ এপ্রিলের পর তা আরও কমে তিনশ কোটি টাকার ঘরে চলে যায়।
সবশেষ গত ২৯ এপ্রিল ২৯১ কোটি টাকা লেনদেন হয়। এটি ছিল গত পাঁচ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন লেনদেন।
এর আগের দিন মার্জিন নীতিমালা বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করে টাস্কফোর্স চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর বাজারে আরেক দফা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
শেয়ার হাতবদল কমে যাওয়ায় বাজার চলে পতনের ধারায়। মাঝে মাঝে মিশ্র ধারায় লেনদেন হলেও তা টেকসই হয়নি।
এতে স্বল্প থেকে মাঝারি আকারের কোম্পানির পাশাপাশি বহুজাতিক ও মৌলভিত্তির প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দরেও পতন ঘটে।
ডিএসইতে সবসময় লেনদেনে শীর্ষে থাকা ব্যাংক, ওষুধ ও রসায়ন এবং জ্বলানী ও বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনাবেচা কমিয়ে দেন।
এসবের মাঝেও বীমা, ব্যাংক, ওষুধ ও রসায়ন ও বস্ত্র খাতের অল্প সংখ্যক বিনিয়োগকারী কিছুটা মুনাফা দেখতে পান। তবে সেই সংখ্যা নিতান্তই কম হওয়ায় তা পুঁজিবাজারের সার্বিক সূচকে দৃশ্যমান কোনো প্রভাব পড়েনি।
ডিএসইর লেনদেনে সোমবার মিউচুয়াল ফান্ড ও বস্ত্র খাতের বিনিয়োগকারীরা সবচেয়ে বেশি মুনাফায় ছিলেন।
লেনদেনের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, এদিন লেনদেনে আসা ৪০০টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৭৩টির, কমেছে ১৬৯টির, আগের দরে লেনদেন হয় ৫৮টির।
সর্বোচ্চ ১৮ শতাংশ লেনদেন হয় ব্যাংক খাতে; টাকার হিসাবে ৭৪ কোটি ৫০ লাখ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত লেনদেন হয় ৫০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ৪০ কোটি টাকার মত লেনদেন করা জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত ছিল তৃতীয় স্থানে।
এদিন সবচেয়ে বেশি দর বাড়ে যথাক্রমে বসুন্ধরা পেপার মিল, বারাকা পাওয়ার ও এসইএমএল পিবিএসএল গ্রোথ ফান্ড। বেশি দর হারায় খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, রেনউইক যজ্ঞেশ্বরস ও এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন।