Published : 05 May 2025, 09:47 PM
আমাদের চারপাশে বেওয়ারিশ কুকুর-বিড়ালের সংখ্যা নেহাত কম নয়। নির্দিষ্ট কোনো লালনকারী না থাকায় তাদের সঙ্গে বন্ধু হয়ে ওঠার সুযোগ থাকে। কিন্তু তাদের প্রতি কি আমরা ভালোবাসা দেখাই বা তাদের বিপদে পাশে থাকি?
আমাদের গ্রামের বাজার থেকে ফেরার পথে একটি মর্মান্তিক ঘটনার মুখোমুখি হয়েছি। পাড়ার দোকানের পাশে রাখা একটি চৌকির নিচে চোখ পড়তেই দেখি একটি কুকুর শুয়ে আছে। কাছে গিয়ে চমকে উঠলাম!
এটা আমাদের পাড়ার পরিচিত কুকুর, যাকে আমরা ‘রকি’ বলে ডাকি। রকিকে আমরা অনেকেই আদর করি। আমাকে দেখলেই দৌড়ে কাছে চলে আসে সে।
রকিকে দেখে মনটা ভার হয়ে গেল। তার লেজ কেটে গেছে, শরীরে রক্ত, চোখে-মুখে ব্যথার ছাপ। একেবারে অসহায় অবস্থায় পড়ে আছে সে।
আশেপাশের লোকজনকে জিজ্ঞেস করলাম কে করেছে এমন কাজ? কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারল না। সবাই শুধু বলল, সকাল থেকেই এমন অবস্থায় পড়ে আছে রকি। ধারণা করলাম, কোনো ধারালো জিনিস দিয়ে আহত করা হয়েছে তাকে। তারপর কয়েকজনের পরামর্শে তার জন্য ব্যথানাশক ওষুধ ও ক্ষত অংশের জীবাণুনাশক কিনে আনি।
আমার মনে প্রশ্ন জাগে, কুকুরের পরিবর্তে এখানে যদি কোনো মানুষ হত তাহলে কি সবাই এভাবে চুপ করে থাকত? নিশ্চয়ই কেউ না কেউ এগিয়ে আসত। তাহলে একটি অবলা প্রাণীর জন্য কেন সেই মানবতাবোধ আমাদের মধ্যে নেই?
প্রাণীরা আমাদের মতই অনুভব করে, ব্যথা পায়, কষ্টে কাঁদে, তাদেরও আছে স্মরণশক্তি। তারা কিছু বলতে পারে না, তাই বলে কি আমরা তাদের কষ্ট বুঝব না? আমাদের উচিত এই অবুঝ প্রাণীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া ও ভালোবাসা দেখানো। ভালোবাসা দিয়েই গড়ে উঠুক এক সহানুভূতির সমাজ।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: নওগাঁ।