বিএসইসির মুখপাত্র বলছেন, বাজারে তারল্য সহায়তা বাড়াতে স্থগিত বিও হিসাব অবমুক্ত করা যায় কি না, তা পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে; তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
Published : 12 Nov 2024, 05:40 PM
আগের দিন উর্ধ্বমুখী সূচকে লেনদেন শেষ করা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ মঙ্গলবার দিন শেষের পতনে ৩৫ পয়েন্ট হারিয়েছে; দর হারিয়েছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার।
সূচকের ঘরে ৫ হাজার ৩৩৩ পয়েন্ট নিয়ে এদিন লেনদেন শুরু হয়েছিল ঢাকার পুঁজিবাজারে। এর দিন ডিএসইএক্স থেমেছে ৫ হাজার ২৯৮ পয়েন্টে, যা আগের দিনের চেয়ে ০.৬৬ শতাংশ কম।
অথচ সকাল থেকে প্রথম দেড় ঘণ্টায় মূল্যসূচকে যোগ হয়েছিল ৩৬ পয়েন্ট। লেনদেন চলাকালেই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন কারসাজির অভিযোগে ‘স্থগিত’ করা বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাবগুলো সচল করার উদ্যোগ নিচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
এরপর সতর্ক অবস্থানে চলে যান বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী। তাতে দর হারাতে শুরু করে বস্ত্র, প্রকৌশল, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার। শেষবেলায় দ্রুত পতনে বাজার আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
বিএসইসি নিজ উদ্যোগে শেয়ার দর কারসাজির অভিযোগে ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী গ্রুপের বিও হিসাবের লেনদেন স্থগিত করেছে। পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলেজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশেও কিছু বিও হিসাব স্থগিত করেছে বিএসইসি।
নিষেধাজ্ঞা থাকা পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠানের বিও হিসাব সচল করা হবে না জানিয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাজারে তারল্য সহায়তা বাড়াতে স্থগিত বিও হিসাব অবমুক্ত করা যায় কি না, তা পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত হলে বিনিয়োগকারীদের জানিয়ে দেওয়া হবে।”
তিনি বলেন, “স্থগিত করার সময়ে নিয়ম-নীতি মানার যে শর্ত দেওয়া হয়েছিল তা যদি পূরণ করা হয়ে থাকে, তাহলে হয়ত কমিশন বিবেচনা করবে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। বিও হিসাব থেকে নগদ অর্থ উত্তোলন বন্ধ করে সচল করা যায় কি না, তা শুধু পর্যালোচনা করা হচ্ছে।”
এদিন ডিএসইতে ৫৭৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে; আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৭৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার।
মঙ্গলবারের বাজারে ১৩৬টি কোম্পানির দর বাড়লেও ২১৬টি দর হারিয়েছে, আগের দামে লেনদেন হয়েছে ৪৮টি কোম্পানির শেয়ার।
দর পতনের দিনেও ভালো কেটেছে বীমা খাতের দিন। এ খাতের ৪১ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হওয়ার পাশাপাশি দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশটির সাতটিই ছিল বীমা খাতের।