এএফসি এলিট প্লেয়ার এলিট কোচ প্রোগ্রামে বর্তমান ও সাবেক মিলিয়ে ১০ জন ফুটবলার কোর্স করছেন।
Published : 01 Sep 2022, 08:32 PM
‘এডুকেটেড ফুটবলার হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি’, এএফসি এলিট প্লেয়ার এলিট কোচ প্রোগ্রামে যোগ দেওয়া নিয়ে বললেন মামুনুল ইসলাম। পেশাদার ফুটবলের শীর্ষ পর্যায়ে খেলে যাওয়া মামুনুলের মতো জামাল ভূইয়া, ওয়ালী ফয়সাল, তৌহিদুল আলম সবুজের মতো আরও অনেকেই এই কোচিং প্রোগ্রামে যোগ দিয়েছেন।
প্রথমবারের মতো ফুটবলারদের এই সুযোগ দিয়েছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। সুযোগটি লুফেও নিয়েছেন ১০ জন। বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূইয়া, গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা, সাবেক অধিনায়ক মামুনুল ছাড়াও আছেন ওয়ালী ফয়সাল, তৌহিদুল আলম সবুজ, ফয়সাল মাহমুদ, জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, নাসিরউদ্দিন চৌধুরি, দিদারুল হক ও শাহেদুল আলম শাহেদ।
একসঙ্গে ‘সি ও বি’ সম্পন্ন করার এই কোর্স চলবে ডিসেম্বর পর্যন্ত। কোর্স শেষে পরীক্ষায় বসতে হবে; পাস করলে ‘এ’ কোর্স করার সুযোগ মিলবে জামাল-মামুনুলদের। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মামুনুল বললেন, ভবিষ্যতের ভাবনা থেকেই কোর্স করছেন তিনি।
“মাঠের ভেতরে আমরা অনেক কিছু শিখি, কিন্তু মাঠের বাইরেও কাগজে-কলমে অনেক কিছু শেখার বিষয় আছে। সেগুলো শিখছি এই কোর্সের মাধ্যমে। এডুকেটেড ফুটবলার হওয়ার সুযোগ এটা। বিশ্বের অনেকেই খেলা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এই কোর্সগুলো করে উন্নতির জন্য। প্রথমবার এই সুযোগ পেয়েছি আমরা; এডুকেটেড ফুটবলার হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি।”
এই কোর্স করলে খেলোয়াড়ী ক্যারিয়ার শেষের পর ফুটবল কোচিংয়ে যুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকবে। কিন্তু গত মৌসুমে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস অ্যান্ড সোসাইটির মাঝমাঠ সামলানো মামুনুল এখনই কোচিং ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবছেন না।
“কোর্সটা করলে অনেক কিছু জানতে পারব, হয়ত সেটা আরও দুই-তিন বছর খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্যও কাজে আসবে। এরপর যদি ভালো কোথাও সুযোগ মেলে, তখন ভেবে দেখা যাবে।”
জাতীয় দলের অধিনায়ক জামালও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ভবিষ্যতের ভাবনা থেকেই কোর্সে যোগ দেওয়ার কথা। বর্তমানে জাতীয় দলের ক্যাম্প নিয়ে ব্যস্ততার ফাঁকেও বৃহস্পতিবার তিনি বাফুফেতে এসেছিলেন ক্লাস করতে।
“বিশ্বের অনেক খেলোয়াড়ই এই কোর্স করছে। কেভিন ডে ব্রুইন করছে। ওদের সঙ্গে তাল মেলাতে চাই। আপনারা জানেন কি-না, আমার একটা ব্যবসা আছে। এছাড়া ভবিষ্যতের বিকল্প হিসেবে এই কোর্স করে রাখছি।”