প্রিমিয়ার লিগের খেলা শেষ হবে ৩ জুন। পর দিন থেকেই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতিতে নেমে পড়বেন জামাল-জিকোরা। ন্যাশনাল টিমস কমিটির বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে, মাঠের লড়াই শুরুর আগে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলারও।
রোববারের বৈঠক শেষে কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ জানিয়েছেন কম্বোডিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ হবে আগামী ১৫ জুন।
গত মার্চের ফিফা উইন্ডোতে সিশেলসের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে সেই দুই ম্যাচের প্রথমটিতে ১-০ গোলে জয়ের পর দ্বিতীয়টিতে একই ব্যবধানে হেরেছিল হাভিয়ের কাবরেরার দল।
সিশেলসের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সৌদি আরবে প্রস্তুতি নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সাফের প্রস্তুতি দেশের বাইরে নয়, বসুন্ধরা কিংসের মাঠ কিংস অ্যারেনায় হবে বলে জানিয়েছেন নাবিল।
“আমাদের চলমান লিগ বন্ধ হবে ৩ জুন এবং ৪ জুন ট্রেনিং ক্যাম্প শুরু হবে। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় হবে ক্যাম্প। দল কাছাকাছি হোটেলে থাকবে।”
“বেশ কিছু ফেডারেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম আমরা। শেষ পর্যন্ত ফিফা উইন্ডোর মধ্যেই ১৫ জুন কম্বোডিয়ার বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলার ব্যবস্থা করতে পেরেছি। কম্বোডিয়ায় কয়েক দিন ট্রেনিংয়ের পর ১৬ জুন বেঙ্গালুরুর উদ্দেশে নমপেন ছাড়বে দল।”
গত বছর সেপ্টেম্বরে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। নমপেনে সেই ম্যাচটি লাল-সবুজ জার্সিধারীরা জিতেছিল ১-০ গোলে।
দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতা সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্দশ আসর আগামী ২১ জুন ভারতের বেঙ্গালুরুতে শুরু হয়ে ৩ জুলাই শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
কুয়েত অংশ নিতে রাজি হওয়ায় এবারের সাফের দল ‘আপাতত’ সাতটি- ভারত, বাংলাদেশ, ভূটান, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও কুয়েত। ফিফার নিষেধাজ্ঞার কারণে এবারের আসরে খেলছে না শ্রীলঙ্কা।
আট দল নিয়ে এবারের আসর আয়োজন করতে আগ্রহী সাফ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অষ্টম দল কোনটি, সেটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি এখনও; ১৫ মে চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
২০০৩ সালে সবশেষ এই মুকুট জেতা বাংলাদেশ ২০০৫ সালের আসরে সবশেষ ফাইনাল খেলেছিল, সেবার ভারতের কাছে হারে দল।
২০০৫ সালে পাকিস্তানে ওই আসরের পর কখনও ফাইনাল খেলতে পারেনি বাংলাদেশ।