দিয়াসের চোখধাঁধানো গোলে এগিয়ে রইল রেয়াল

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দলকে এগিয়ে নেওয়া ব্রাহিম দিয়াস শেষ দিকে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Feb 2024, 09:56 PM
Updated : 13 Feb 2024, 09:56 PM

জুড বেলিংহ্যাম ফিট থাকলে শুরুর একাদশে জায়গাই পেতেন না ব্রাহিম দিয়াস। সতীর্থের চোটে সুযোগ পেয়ে, তার অভাব কী দারুণভাবেই না পূরণ করলেন তিনি। নজরকাড়া এক গোল করে বেলিংহ্যামের মতোই উদযাপনে মাতলেন দিয়াস। লাইপজিগকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালের পথে কিছুটা এগিয়ে রইল রেয়াল মাদ্রিদ।

লাইপজিগের রেড বুল অ্যারেনায় মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতেছে রেকর্ড ১৪ বারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন দিয়াস।

জয়ের স্বস্তির রাতে কার্লো আনচেলত্তির দলের জন্য অস্বস্তির কাঁটা হতে পারে দিয়াসের চোট। শেষ দিকে মাঠ ছাড়েন স্প্যানিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।

গত শনিবার লা লিগায় জিরোনার বিপক্ষে ৪-০ গোলে জয়ের ম্যাচে অ্যাঙ্কেলে চোট পেয়ে ছিটকে যান বেলিংহ্যাম। তিন সপ্তাহের মতো বাইরে থাকতে হবে এই ইংলিশ মিডফিল্ডারকে। তার জায়গায় খেলতে নেমে চোট পেলেন দিয়াসও।

একের পর এক খেলোয়াড়ের চোটে এমনিতেই জোড়াতালি দিয়ে দল সাজাতে হচ্ছে রেয়াল কোচ আনচেলত্তিকে। দিয়াসও ছিটকে গেলে দলটির দুর্ভাবনা বাড়বে। চোট কাটিয়ে লাইপজিগের বিপক্ষে ফেরেন অবশ্য সেন্টার-ব্যাক নাচো ফের্নান্দেস।

ম্যাচে বল দখলে দুই দলই ছিল সমানে সমান। লক্ষ্যে শট নেওয়ায় এগিয়ে লাইপজিগ। গোলের জন্য জার্মান দলটির ১৪ শটের ৯টি ছিল লক্ষ্যে। রেয়ালের ১৫ শটের কেবল তিনটি লক্ষ্যে ছিল।

পুরো ম্যাচে মোট ৯টি সেভ করে রেয়ালের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন গোলরক্ষক আন্দ্রি লুনিন।

দ্বিতীয় মিনিটে লাইপজিগের বেনইয়ামিন সিসকো হেডে রেয়ালের জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোলে মেলেনি। পরের মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পান স্লোভেনিয়ার এই ফরোয়ার্ড। তার দুর্বল শট অনায়াসে ঠেকান লুনিন।

গ্রুপ পর্বে ছয় ম্যাচের সবগুলো জয়ী রেয়াল নবম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায়। বক্সের ভেতর থেকে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার শট সহজেই ঠেকান গোলরক্ষক পেতার গুলাসি। পরের মিনিটে আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া করেন সিসকো। ওয়ান-অন-ওয়ানে তার শট ফিরিয়ে দেন লুনিন।

২০তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে টনি ক্রুসের জোরাল শট যায় গোলরক্ষক বারাবর। দুই মিনিট পর ভিনিসিউস জুনিয়রের পাস থেকে সুযোগ পান রদ্রিগো। তবে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার, বল যায় বাইরে দিয়ে।

প্রথমার্ধে আর উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনো দলই।

দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে রেয়ালকে এগিয়ে নেন দিয়াস। দানি কারভাহালের পাস ডান দিকের টাচলাইনের কাছে পান তিনি। সেখান থেকে একে একে প্রতিপক্ষের তিন খেলোয়াড়ের বাধা পেরিয়ে ঢুকে পড়েন বক্সে। এরপর তার বাঁ পায়ের শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জালে আশ্রয় নেয় দূরের পোস্ট দিয়ে।

গোল করে বেলিংহ্যামের মতোই দুই হাত দুই দিকে বাড়িয়ে উদযাপন করেন ২৪ বছর বয়সী দিয়াস।

খানিক পরই সমতায় ফেরার সুযোগ পায় লাইপজিগ। কাছ থেকে সিসকোর শট ফিরিয়ে দেন লুনিন। ৭২তম মিনিটে দ্বিগুণ হতে পারত ব্যবধান। কিন্তু বক্সে ঢুকে ভিনিসিউসের নেওয়া শট পোস্টে লাগে।

শেষ দিকে রেয়ালের ওপর চাপ বাড়ায় লাইপজিগ। ৮১তম মিনিটে কাছ থেকে সিককোর আরেকটি শট ব্যর্থ করে দেন লুনিন। এরপরই চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন দিয়াস।

একটু পর আরেকটি দারুণ সেভে জাল অক্ষত রাখেন ইউক্রেইনের গোলরক্ষক লুনিন।

গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে লাইপজিগের মাঠে ৩-২ গোলে হেরেছিল রেয়াল। এবারের জয়ে সেই ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ দিল স্প্যানিশ জায়ান্টরা।

আগামী ৬ মার্চ সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে হবে ফিরতি লেগ।