রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়রকে লক্ষ্য করে একের এর বর্ণবাদের ঘটনায় প্রতিবাদে সোচ্চার ফুটবল বিশ্ব। সবার একটাই দাবি, এসব বন্ধে যেন কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে খুব একটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন না পেপ গুয়ার্দিওলা। স্বদেশ সম্পর্কে নিজের ধারণা থেকে ম্যানচেস্টার সিটি কোচের উপলব্ধি, স্পেনে বর্ণবাদী আচরণের চলমান চিত্রে কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
চলতি মৌসুমে লা লিগায় বেশ কয়েকবারই বর্ণবাদের শিকার হন ভিনিসিউস। বিভিন্ন সময়ে তা নিয়ে প্রতিবাদ হলেও জোরাল কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সবশেষ গত সপ্তাহে রিয়াল ও ভালেন্সিয়ার ম্যাচে ফের বর্ণবাদী আচরণের লক্ষ্যবস্তু হন এই ব্রাজিলিয়ান। এরপর আগের ও এই ঘটনা মিলিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শাস্তি দেওয়া হয় ভালেন্সিয়াকে।
স্প্যানিশ ফুটবলে বর্ণবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে লা লিগার সীমাবদ্ধতার কথা বলেছেন সংস্থাটির সভাপতি হাভিয়ের তেবাস। বর্ণবাদ থামাতে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনকে আরও অনেক কিছু করার আছে বলে মত তার। লা লিগা কর্তৃপক্ষের যা করণীয়, সেখানে কোনো ঘাটতি দেখেন না তেবাস।
সাবেক স্পেন মিডফিল্ডার গুয়ার্দিওলার কাছে এসব কেবলই লোক দেখানো কর্মকাণ্ড। ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে সিটির ম্যাচের আগের দিন শনিবার গুয়ার্দিওলা বললেন নিজ দেশের বর্ণবাদ নিয়ে।
“আমাদের বৈচিত্র্যকে একটি শক্তি হিসেবে মেনে নিতে হবে, একজন মানুষের মতো করে এবং সেই জায়গা থেকে এখনও আমরা অনেক দূরে আছি। আশা করি এটা স্পেনে (বর্ণবাদ বন্ধে) পরিস্থিতি আরও ভালো হওয়ার একটি ধাপ হতে পারে, তবে আমি আশাবাদী নই। আমি দেশটিকে কিছুটা হলেও জানি এবং আমি সত্যিই আশাবাদী নই।”
“নিজেদের অধিকার রক্ষার জন্য অনেক কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ এগিয়ে আসছেন, যা তাদের করার কথা নয়। আশা করি ন্যায়বিচার এটি বন্ধ করতে সাহায্য করবে। তবে এটা কি স্পেনে কিছু পরিবর্তন করবে?”
বর্ণবাদ, ভেদাভেদের সমস্যাটি স্রেফ স্পেনেই নয়, সবদেশেরই বলে মনে করেন গুয়ার্দিওলা।
“অবশ্যই বর্ণবাদ বিশ্বজুড়ে একটি সমস্যা, কেবল একটি নির্দিষ্ট জায়গায় নয়। সব জায়গাতেই আমাদের মাঝে এমন মানুষ রয়েছে যারা ভাবে তারা তাদের প্রতিবেশীর চেয়ে ভালো, অন্যদের চেয়ে ভালো।”
“সমস্যা হলো বর্ণবাদ সব জায়গাতেই বিদ্যমান। শুধু লিঙ্গের জন্য নয়, গায়ের রঙ, মনোভাবের জন্যও। আমরা মনে করি, আমাদের ভাষা অন্যটির চেয়ে ভালো, আমাদের দেশ অন্য দেশের চেয়ে ভালো।”