ফিলিস্তিনের বিপক্ষে রক্ষণের ব্যর্থতা এখনও পোড়াচ্ছে তপুদের

মিডফিল্ডার সোহেল রানা বললেন, প্রথম লেগে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে পরাজয়টি এত বড় ব্যবধানের হবে, সেটা ঘুর্ণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি তারা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2024, 02:30 PM
Updated : 23 March 2024, 02:30 PM

শক্তিশালী ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ভালোভাবে শুরু করেও হঠাৎ পথ হারিয়ে বিধ্বস্ত হওয়ার জ্বালা এখনও কমেনি বাংলাদেশ দলের। ফিরতি লেগের জন্য প্রস্তুতিপর্বের শুরুতেও তাই অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার তপু বর্মন অকপটে মেনে নিলেন, ওই ম্যাচে দলগতভাবে রক্ষণ সামলাতে না পারার চড়া মাশুল দিতে হয়েছে তাদের।

২০২৬ বিশ্বকাপ ও ২০২৭ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ফিরতি লেগে আগামী মঙ্গলবার ফের মুখোমুখি হবে এই দুই দল। ম্যাচটি হবে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়। প্রথম দেখায় ৫-০ গোলে হারে বাংলাদেশ।

কুয়েত থেকে ফিরে শনিবার কিংস অ্যারেনাতেই প্রস্তুতি সেরেছেন তপু-সোহেলরা। প্রথম লেগের ভুলগুলো শুধরে বাংলাদেশ দল এখন ঘুরে দাঁড়ানোর অপেক্ষায়। এবারের ম্যাচটি চেনা আঙিনাতে হওয়ায় দলের আত্মবিশ্বাসও বেশি বলে জানালেন তপু।

“কামব্যাক করা অবশ্যই সম্ভব, কামব্যাক বলতে ৫-০ গোলে জিততে হবে এমন না। আমাদের মাঠে ওদেরকে যদি হারাতে পারি তাহলে ভালো। অবশ্যই আমাদের ওটাই লক্ষ্য। কুয়েতে যে ফলাফল হয়েছে, সেটা হতাশাজনক। এটা দলের কেউই আশা করে নাই। অবশ্যই এখানে ঘুরে দাঁড়াতে চাই আমরা। (প্রথম লেগে) আমি মনে করি, আমাদের মনোযোগে ঘাটতি ছিল না। বিশেষ কোনো সমস্যা ছিল না। ডিফেন্ডিংটা নড়বড়ে ছিল এবং এটা আমাদের কাছে মাইনাস পয়েন্ট। আমরা সমান তালে লড়াই করছিলাম। হঠাৎ গোল হজম করে আত্মবিশ্বাস কমে গিয়েছিল আমাদের।“

“আমাদের স্ট্যামিনায় কোন ঘাটতি ছিল না। হ্যাঁ, মনোযোগ আরেকটু ভালো থাকলে তা কাটিয়ে উঠতে পারতাম। আমাদের দলীয় যে রক্ষণ ছিল, সেখানে সবাই যদি ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারতাম, তাহলে ভালো হতো। চার জনের বিপরীতে ছয়জন হলে কঠিন, সেটা আবার ফিলিস্তিনের মতো দলের বিপক্ষে হলে আরও কঠিন। আমার কাছে মনে হয়, দলীয় রক্ষণ ভালো হলে ম্যাচ হারতাম, কিন্তু এত গোল হজম করতাম না।”

ফিলিস্তিনকে কখনও হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। এক ড্র ও পাঁচ হারের পরিসংখ্যান নিয়ে কুয়েতে তাদের মুখোমুখি হয়েছিল দল। ওই পাঁচ হারে কোনো ম্যাচেই দুই গোলের বেশি হজম করতে হয়নি বাংলাদেশকে। প্রথমবারের মতো পাঁচ গোল খাওয়া তাই মেনে নিতে পারছেন না মিডফিল্ডার সোহেল রানা।

“ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ম্যাচের আগে কোচ আমাদের অনেক কিছুই বলেছেন। ওই অনুযায়ী আমরা খেলতে পেরেছি, কিন্তু অনেক কিছু আবার করতেও পারিনি। এখন আমরা পরের ম্যাচ নিয়ে ভাবছি। গত ম্যাচটা ভুলে যেতে চাই। যেহেতু ঘরের মাঠে খেলা, তাই আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে। প্রথম ম্যাচ যেভাবে হেরেছি, আমরা চেষ্টা করব ঘরের মাঠে যেমন খেলতে পারি, সেটাই খেলে যেন ভালো একটা ফল বের করতে পারি।”

“গত ম্যাচে আমরা ছোট ছোট যে ভুলগুলো করেছি, সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। ওই ভুলগুলো শুধরে যদি মাঠে ভালো কিছু করতে পারি, তাহলে আমরা ফিরতি লেগে ভালো কিছু পাব আশা করি। ম্যাচটা শুরুর হওয়ার আগে আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল, আমরা অন্তত এইভাবে হারব না। এভাবে যে হারব, আমরা খেলোয়াড়রাও চিন্তা করিনি। কিন্তু ম্যাচের মধ্যে ছোট ছোট কিছু ভুল অনেক সময় অনেক বড় হয়ে দাঁড়ায়। এই পর্যায়ের দলের সাথে আমরা বড় ভুল করিনি, কিন্তু যে ছোট ভুলই করেছি, ওরা সুযোগটা নিয়েছে। ওরা বড় দল, ওদের প্রেসারের কারণে আমরা ভুলগুলো বাধ্য হয়ে করেছি। আশা করি, পরের ম্যাচে এগুলো হবে না।”