চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আলাদা প্রতিযোগিতার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
Published : 21 Dec 2023, 07:23 PM
আদালতের রায় পক্ষে পাওয়ার পরপরই নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে বিতর্কিত ইউরোপিয়ান সুপার লিগের পৃষ্ঠপোষক সংস্থা এ-টোয়েন্টিটু স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট। পুরুষ ও নারীদের আলাদা ক্লাব প্রতিযোগিতার প্রস্তাবনা দিয়েছে তারা।
ভিডিও উপস্থাপনায় এই পরিকল্পনা তুলে ধরেন এ-টোয়েন্টিটু এর প্রধান নির্বাহী বার্ন্ড রিচার্ট। ছেলেদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রস্তাবিত প্রতিযোগিতাটি হবে তিন স্তরে, অংশ নেবে ৬৪ ক্লাব। আর মেয়েদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রস্তাবিত প্রতিযোগিতায় থাকবে দুটি স্তর, থাকবে ৩২ দল।
মূলত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই ২০২১ সালে ইউরোপিয়ান সুপার লিগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিল শুরুতে এতে যোগ দেওয়া ১২টি ক্লাব। কিন্তু ফিফা ও উয়েফাসহ এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের প্রবল বাধা ও সমর্থকদের কড়া সমালোচনার মুখে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরে দাঁড়ায় ৯টি ক্লাব। টিকে থাকে কেবল রেয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও ইউভেন্তুস। গত জুলাইয়ে প্রতিযোগিতাটি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানায় ইউভেন্তুসও।
সুপার লিগ আয়োজনের ঘোষণা দেওয়ার পরপরই চারিদিক থেকে এতে সম্পৃক্ত ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিতে থাকে ফিফা ও উয়েফা। সুপার লিগের বিরুদ্ধে আগাম নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর ব্যবস্থা করতে শুরুতেই আদালতের আশ্রয় নেয় লিগ কর্তৃপক্ষ। আগামীর পথচলা মসৃণ করার লক্ষ্যে পরে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিস (ইসিজে)- এ আবেদন করে তারা, যার রায় আসে বৃহস্পতিবার।
আদালতের রায়ে বলা হয়, সুপার লিগ আয়োজনের ক্ষেত্রে ফিফা ও উয়েফার বাধা দেওয়াটা বেআইনি। এক্ষেত্রে ফিফা ও উয়েফা তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
আদালতের রায় ঘোষণার কয়েক ঘন্টা পরই সুপার লিগের নতুন পরিকল্পনার কথা জানানো হয়।
সুপার লিগ সম্প্রচার করার জন্য একটি নতুন স্পোর্টস স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যেখানে সকল ম্যাচ বিনামূল্যে দেখা যাবে। বিজ্ঞাপন, প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন ও স্পনসরশিপের মাধ্যমে আয় হবে।
ছেলেদের প্রতিযোগিতায় শীর্ষ দুটি স্তরের নাম হবে স্টার লিগ ও গোল্ড লিগ। প্রতিটি স্তরে থাকবে ১৬টি করে দল। নিচের স্তর ব্লু লিগে থাকবে ৩২ দল। প্রতিটি স্তরের মধ্যে প্রমোশন ও রেলিগেশন থাকবে।
প্রতিটি স্তরের প্রথম আট দল উঠবে নকআউট পর্বে। কোয়ার্টার-ফাইনাল ও সেমি-ফাইনাল হবে দুই লেগে এবং ফাইনাল হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। প্রতিটি পর্যায়ে একেকটি দল অন্তত ১৪টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে।
ব্লু লিগের নিচের ২০ দলকে প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেওয়া হবে এবং ইউরোপিয়ান ঘরোয়া লিগগুলোর শীর্ষ ক্লাবগুলোকে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে সেখানে যোগ করা হবে।
গোল্ড ও ব্লু লিগের ফাইনালে ওঠা দুই দল তাদের উপরের স্তরে উন্নীত হবে। আর স্টার ও গোল্ড লিগের নিচের দুটি দলকে তাদের পরের স্তরে নামিয়ে দেওয়া হবে।