বাছাইয়ের প্রিলিমিনারি রাউন্ডের দুই লেগেই সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন বাংলাদেশের এই ফরোয়ার্ড।
Published : 17 Oct 2023, 10:34 PM
শেষের বাঁশি বাজতেই বাঁধনহারা উদযাপনের শুরু রাকিব-ফাহিমদের। উদযাপন অবশ্য বাড়তি মাত্রা পেল খেলোয়াড়দের হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা থাকায়। পরে ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় গোলদাতা রাকিব হোসেন জানালেন, ফিলিস্তিনের পতাকা উঁচিয়ে উৎসবের কারণ।
হামাসের হামলার পাল্টা জবাব দিতে ইসরায়েলের আগ্রাসনে গাজার ফিলিস্তিনিদের এখন জেরবার অবস্থা। প্রতি মুহূর্তেই আসছে প্রাণহানির খবর।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় মঙ্গলবার মালদ্বীপের বিপক্ষে রাকিব-বিশ্বনাথরা ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি খেলতে নেমেছিলেন অনেক চাওয়া নিয়ে। প্রিলিমিনারি রাউন্ডে পেরিয়ে বাছাইয়ে গ্রুপ পর্বে খেলার লক্ষ্য পূরণের পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানানোর উদ্দেশ্যও ছিল বলে জানালেন রাকিব।
“অস্ট্রেলিয়ার মতো বিশ্বকাপে খেলা দলের সঙ্গে খেলাটা আমাদের জন্য বড় সুযোগ। ওরা বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলেছে; চেষ্টা করবো ওদের বিপক্ষে ভালো ফুটবল খেলতে। আর ফিলিস্তিন একটা মুসলিম দেশ। আমাদের বিশ্বনাথ (ঘোষ) আছে, বিশ্বনাথও বলেছে, আমরা সবাই মিলে আলোচনা করেছি, গোল করতে পারলে, জিততে পারলে ওদের আমরা সমর্থন দেব। আমরা দেখেছি, আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোতে সবাই ওদেরকে সমর্থন দিচ্ছে, তাই আমরাও ওদেরকে সমর্থন করেছি।”
রাকিব ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের গোলে মালদ্বীপকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে বাছাইয়ের দ্বিতীয় ধাপে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। দুই লেগেই সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন রাকিব। তবে সুযোগগুলো নষ্ট না হলে দ্বিতীয় লেগের ফল আরও ভালো হত বলে মনে করেন তিনি।
“আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর ওপর ভরসা ছিল। পরিশ্রম করলে মানুষ তার ফল পাবেই। আমরা দীর্ঘদিন এক সঙ্গে পরিশ্রম করেছি। আমাদের দলে কিন্তু বড় কোন তারকা নেই। আমরা একটা দল হয়ে খেলেছি। মাঠে ১১জন যুদ্ধ করেছি। বাইরে যারা ছিলো, তারাও সমর্থন দিয়েছে। বিশ্বাস ছিল এক সঙ্গে ভালো কিছু করব। মালেতে ড্র করে আসার পর আত্মবিশ্বাস ছিল। মালেতেও আমরা ভালো ফুটবল খেলেছি। দু-একটা ভুল না হলে হয়তো আরও ভালো হতো।”
“এটা ছিল একটা ট্যাকটিক্যাল গেম। ওরা যেভাবে খেলেছে। আমরাও সেভাবেই পরিকল্পনা করে খেলেছি। আসলে প্রথম গোল করার পর আমরা আরও কিছু চান্স পেয়েছিলাম। যেগুলো আমি মিস করেছিলাম। এটা ছিল আমাদের ঘরের মাঠে খেলা। আমরা চেষ্টা করেছি ঘরের মাঠে ৯০ মিনিট এমন ফুটবল খেলতে যাতে দর্শকরা নিরাশ না হয়। প্রতিটি পজিশনেই আমরা সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছি।”