নেশন্স লিগ মিশনে নামার আগে জার্মানির কোচ ইউলিয়ান নাগেলসমান আবারও মনে করিয়ে দিলেন তার দৃষ্টি অনেক দূরে; বিশ্বকাপে।
Published : 07 Sep 2024, 04:31 PM
বড় মঞ্চে সময়টা ভালো যাচ্ছে না জার্মানির, কিন্তু দলটির কোচ ইউলিয়ান নাগেলসমান দেখছেন বড় স্বপ্নই। বলেছেন, ২০২৬ বিশ্বকাপ জেতাই মূল লক্ষ্য তার। এ নিয়ে চলছে হাসি-ঠাট্টা। তার দলের দিকেও ছোঁড়া হচ্ছে সমালোচনার তির। তবে নাগেলসমান টলছেন না মোটেও। নেশন্স লিগ মিশন শুরুর আগে দৃঢ় কণ্ঠে বললেন, তার লক্ষ্য আছে আগের মতোই অটুট।
সবশেষ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে নাগেলসমানের কোচিংয়ে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিল জার্মানি। তাদের ইউরোর শিরোপার দাবিদারদের একটি হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছিল। কিন্তু সমর্থকদের আশা দেখিয়ে শেষ পর্যন্ত হতাশ করে জার্মানরা। কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় পরে চ্যাম্পিয়ন হওয়া স্পেনের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে।
ইউরোর পর জার্মানি প্রথমবার মাঠে নামতে যাচ্ছে শনিবার। উয়েফা নেশন্স লিগের ম্যাচে হাঙ্গেরির মুখোমুখি হবে তারা। ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে গ্রুপে পর্বে এই দলটির বিপক্ষে খেলেছিল তারা, ২-০ গোলের জয় নিয়ে ছেড়েছিল মাঠ। ইউরোর সেই ছন্দ ধরে রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়ার কথা বললেন নাগেলসমান।
“ইউরোর পর প্রথম ম্যাচে আমরা কেমন ছন্দ ধরে রাখতে পারি, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে অনুশীলনে নতুন কিছু করিনি। অনুশীলনের জন্য খুব কম সময় পেয়েছি এবং (ইউরো) টুর্নামেন্টে যা করেছি, তা সুসংহত করতে চাই। আমরা আবারও ইউরোর উদ্দীপনা দেখতে চাই।”
গত ইউরোর ব্যর্থতার পর নাগেলসমান বলেছিলেন, ২০২৬ বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্য তার। ইউরো জিততে না পারা দলের কোচের এমন স্বপ্নের কথা জার্মান ফুটবলে হয় সমালোচিত। ২০১৪ সালে চতুর্থ ও সবশেষ বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল জার্মানরা।
বিশ্বকাপ জেতার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে নাগেলসমানকে নতুন করে গড়তেও হবে অনেক কিছু। কেননা, ইউরোর পর বিদায় নিয়েছেন তাদের অভিজ্ঞ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়; গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ার, মিডফিল্ডার টনি ক্রুস, ইলকাই গিন্দোয়ান ও ফরোয়ার্ড টমাস মুলার।
একদিকে অনেক কিছু নতুন করে গড়ার চ্যালেঞ্জ, অন্যদিকে সমালোচকরাও তির ছুঁড়তে তৈরি হয়ে আছে, তবে নিজের লক্ষ্যে অটল নাগেলসমান।
“এটা ভালো দিক যে, আমরা এত বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করছি। বিশেষজ্ঞদের কিছু কিছু মন্তব্য আমি বুঝতে পারছি না।”
“যখন একজন কোচ বলেন, তিনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে চান এবং এর জন্য সমালোচিত হন, আমি মনে করি, বিষয়টি (কোচের সমালোচনা) একেবারেই পাগলামি।”