আন্তর্জাতিক ফুটবল
ঘরের মাঠে একপেশে ম্যাচে ৪-০ গোলে জিতেছে দরিভাল জুনিয়রের দল।
Published : 16 Oct 2024, 08:46 AM
দুই অর্ধে দুটি পেনাল্টি পেল ব্রাজিল। ঠাণ্ডা মাথায় জোরাল শটে দুবারই লক্ষ্যভেদ করলেন রাফিনিয়া। ছন্দে থাকা বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের জোড়া গোলে কেটে গেল চাপ। পরে দুই বদলি খেলোয়াড় আন্দ্রেয়াস পেরেইরা ও লুইস এইহিক পেলেন জালের দেখা। পেরুকে উড়িয়ে টানা দ্বিতীয় জয় পেল দরিভাল জুনিয়রের দল।
ব্রাসিলিয়ায় বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে পেরুকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। এই জয়ে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে চারে উঠে এসেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ঘরের মাঠে শুরু থেকেই প্রত্যাশিত আক্রমণাত্মক ফুটবলই খেলে ব্রাজিল। তবে হতাশ করে প্রতিপক্ষের রক্ষণে গিয়ে। গোলের ভালো সুযোগ তৈরি করতে, লক্ষ্যে প্রথম শট নিতে লেগে যায় অনেক সময়- ৩৮ মিনিট। সেটিও সম্ভব হয় পেনাল্টিতে!
ইগো জেসুসের চ্যালেঞ্জের মুখে ডি বক্সে পেরুর ডিফেন্ডার কার্লোস সামব্রানোর হাতে দুইবার বল লাগে। শুরুতে হ্যান্ডবলের আবেদনে সাড়া দেননি রেফারি। পরে ভিএআরে দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান তিনি।
ডান দিকে ঝাঁপ দেন পেরু গোলরক্ষক পেদ্রো গালেসি। বাঁদিকে পোস্ট ঘেঁষে জোরাল শটে জাল খুঁজে নেন রাফিনিয়া। এগিয়ে যায় ব্রাজিল।
চার মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেন রদ্রিগো। বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়ে রেয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড নেন দুর্বল শট।
৪৪তম মিনিটে ডি বক্সে বল পান অরক্ষিত রাফিনিয়া। গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল পাঠানোর চেষ্টায় সফল হননি তিনি। লাফিয়ে সহজেই নিয়ন্ত্রণে নেন গালেসি।
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই সুযোগ পান রদ্রিগো। তার চমৎকার বাঁকানো শট ঝাঁপিয়ে কোনোমতে ব্যর্থ করে দেন গালেসি।
৫৪তম মিনিটে আবার পেনাল্টি থেকে জালের দেখা পান রাফিনিয়া। এবার সঠিক দিকেই ঝাঁপ দেন গালেসি কিন্তু পেরে ওঠেননি গতির সঙ্গে। দেশের হয়ে বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের এটি নবম গোল।
সাভিনিয়োকে ডিফেন্ডার সামব্রানো ফাউল করায় এই পেনাল্টি পেয়েছিল ব্রাজিল।
২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর আরও উজ্জীবিত হয়ে ওঠে ব্রাজিল। তৈরি করতে থাকে একের পর এক সুযোগ। কখনও গেরসন, কখনও জেসুসের ব্যর্থতায় হাতছাড়া হচ্ছিল সেগুলো।
আক্রমণে ধার বাড়াতে ৬৯তম মিনিটে এক সঙ্গে এইহিক ও পেরেইরাকে মাঠে নামান ব্রাজিল কোচ। দুই মিনিট পর দুই বদলি খেলোয়াড়ের নৈপুণ্যে তৃতীয় গোল পায় ব্রাজিল। এইহিকের দারুণ ক্রসে পেরেইরার অ্যাক্রোবেটিক শটে জড়ায় জালে।
৭৪তম মিনিটে স্কোর লাইন ৪-০ করে ফেলেন এইহিক। জেসুসের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে দারুণ বাঁকানো শটে জাল খুঁজে নেন বতাফোগোর ফরোয়ার্ড। চিলির বিপক্ষে আগের ম্যাচের শেষ দিকে এমনই একটি গোলে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন এইহিক।
বাকি সময়ে গোলের তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনো দলই।
১০ ম্যাচে পঞ্চম জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে উঠে এসেছে ব্রাজিল। গোল পার্থক্যে তাদের চেয়ে এগিয়ে তিনে আছে উরুগুয়ে।
১৯ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে কলম্বিয়া।
লিওনেল মেসির হ্যাটট্রিকে বলিভিয়াকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া আর্জেন্টিনা আছে শীর্ষেই। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট ২২।