ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ
ক্রুসেরও স্পষ্ট উচ্চারণ, স্পেনকে ঠেকানোর সামর্থ্য তাদের আছে।
Published : 04 Jul 2024, 09:33 AM
ক্লাব রেয়াল মাদ্রিদের হয়ে দুজন খেলেছেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। তৈরি হয়েছে অনেক সুখস্মৃতি। জার্মানির টনি ক্রুস ও স্পেনের হোসেলুর মধ্যে গড়ে উঠেছে বন্ধুত্বও। তবে ইউরোর কোয়ার্টার-ফাইনালের লড়াই তাদেরকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বিপক্ষ শিবিরে। ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতাটি দিয়ে পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন ক্রুস। হোসেলুর আশা, আসছে ম্যাচই হবে জার্মান মিডফিল্ডারের শেষ।
সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আগামী শুক্রবার মুখোমুখি হবে ইউরোর সফলতম দুই দল স্পেন ও জার্মানি। স্টুটগার্টে আসরের দুই ফেভারিট দলের ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়।
রেয়ালের হয়ে গত মাসে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে ক্লাব ক্যারিয়ারের ইতি টানেন ক্রুস। ঘরের মাঠের ইউরো দিয়ে বুট জোড়া একেবারে তুলে রাখবেন বিশ্বকাপ জয়ী ৩৪ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার।
গত মৌসুমে রেয়ালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ী দলের অংশ ছিলেন হোসেলুও। ইউরোপের সফলতম ক্লাবটিকে বিদায় জানিয়ে কদিন আগে কাতারের দল আল ঘারাফায় যোগ দেওয়া এই স্প্যানিশ স্ট্রাইকার বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বললেন, শুধু ক্রুসকে নিয়ে না ভেবে পুরো জার্মান দলের দিকেই মনোযোগ দিতে হবে তাদের।
“আমি টনিকে (ক্রুস) ভালোবাসি, কিন্তু আমার মনে হয়, শুক্রবারই তার শেষ ম্যাচ। আমরা জানি কতটা মানসম্পন্ন খেলোয়াড় সে। জার্মানির জন্য গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড় সে, কিন্তু আমরা শুধু তাকে নিয়ে ভাবতে পারি না। তারা আক্রমণে সবচেয়ে বিপজ্জনক দল।”
“আমরা জানি, যখনই তাদের বল দখলে থাকে, বলটা টনি হয়েই যায়। জার্মানি যাতে তাদের খেলাটা খেলতে না পারে, সেজন্য তার ওপর আমাদের বিশেষ নজর রাখতে হবে। সে একজন ভালো বন্ধু, মাদ্রিদে আমরা অনেক কথা বলেছি এবং সে আমাকে অনেক উপদেশ দিয়েছে। সে মাদ্রিদের মতোই জার্মানির মূল ভিত্তি। কিন্তু আমরা আশা করি, এটিই হবে তার শেষ ম্যাচ এবং শুক্রবার আমরা তাকে অবসরে পাঠাব।”
পরে আরেক সংবাদ সম্মেলনে হোসেলুর মন্তব্যের জবাব দেন ক্রুস।
“সে এসব বলেছে, কারণ সে জিততে চায়। আমি বুঝতে পারছি, সে স্পেনকে সেমি-ফাইনালে তুলতে চায়। কিন্তু আমি মনে করি, স্পেনের পরের ধাপে যাওয়া ঠেকানোর অনেক কিছুই জার্মানির আছে। রোমাঞ্চকর এক ম্যাচ হতে যাচ্ছে। অবশ্যই বিরক্তিকর হবে না। হোসেলু যা বলেছে, তা মজার।”
১৯৮৮ সালের ইউরোর পর কোনো টুর্নামেন্টে স্পেনকে হারাতে পারেনি জার্মানি।