কোচের মতো ফরাসি ফরোয়ার্ড রান্দাল কোলো মুয়ানির কণ্ঠেও আগের ম্যাচে হারের ধাক্কা সামলে জয়ে ফেরার স্বস্তি।
Published : 27 Mar 2024, 04:26 PM
জার্মানির বিপক্ষে হারের ক্ষত তখনও শুকায়নি। সেই হতাশার মাঝে চিলির বিপক্ষে খেলতে নেমেই গোল খেয়ে বসে ফ্রান্স। তবে, এবার আর তাদেরকে দমিয়ে রাখা যায়নি। অল্প সময়েই নিজেদের গুছিয়ে নেয় তারা। দলের এই ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নেওয়ায় খুব খুশি ফরাসি কোচ দিদিয়ে দেশম।
ঘরের মাঠে ষষ্ঠ মিনিটেই মর্সেলিনো নুনেসের গোলে পিছিয়ে পড়ে ফ্রান্স। তবে খানিক পর ছয় মিনিটের দুই গোলে এগিয়ে যায় তারা। ১৯তম ইউসুফ ফোফানা সমতা টানার পর সাবেক বিশ্ব চাম্পিয়নদের এগিয়ে নেন রান্দাল কোলো মুয়ানি।
৭২তম মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার অলিভিয়ে জিরু। ১০ মিনিট পর দারিও ওসারিও ব্যবধান কমিয়ে ফের লড়াই জমিয়ে তোলেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য প্রতিপক্ষকে আটকাতে পারেনি সফরকারীরা; ৩-২ গোলে জয় পায় ফ্রান্স।
দুই ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল দুইবারের বিশ্বকাপ জয়ীরা। তবে, দেশম বেশি খুশি দলের ঘুরে দাঁড়ানোর ধরনে।
“ম্যাচের শুরুর দিকেই আমরা সমতাসূচক গোলটি পেয়ে যাই। আর এভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারা দারুণ ব্যাপার, জার্মানির বিপক্ষে যা পারিনি আমরা।”
“এগুলো প্রীতি ম্যাচ, তারপরও… আমাদের প্রতিপক্ষরা অনেক শক্তি খরচ করে আর আমরা কম করি। জিততে পারলে সবসময়ই ভালো, কিন্তু কিছু কাজ আমরা করেছি যা অনেক পরিশ্রমের।”
তিন দিন আগে, জার্মানির বিপক্ষে দুই অর্ধে দুটি গোল হজম করে একবারের জন্যও ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি ফ্রান্স। জার্মানরা ম্যাচটি জেতে ২-০ ব্যবধানে।
চিলিকে হারিয়ে জয়ের পথে ফেরার পর কোলো মুয়ানির কথায়ও এলো জার্মানি ম্যাচের প্রসঙ্গ।
“(চিলির বিপক্ষে) ম্যাচটা দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হলো। জার্মানির বিপক্ষে ম্যাচের পর আমরা ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ছিলাম। রক্ষণে দৃঢ় এবং আক্রমণে আরও ধারাল হতে আমরা নিজেদের এগিয়ে নিতে পেরেছি।”