ব্যালন দ’র
ভিনিসিউস ও রেয়াল মাদ্রিদ ব্যালন দ’র অনুষ্ঠানে না আসায় খারাপ লাগেনি ২০২৪ ব্যালন দ’র জেতা স্প্যানিশ এই মিডফিল্ডারের।
Published : 12 Nov 2024, 08:31 PM
এবারের ব্যালন দ’র অনুষ্ঠানে রেয়াল মাদ্রিদের না যাওয়ার সিদ্ধান্তে কি কষ্ট পেয়েছেন বর্ষসেরার পুরস্কারটি রদ্রি? স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সরাসরি বলেছেন, একদমই খারাপ লাগেনি তার। এসব ভাবনা মাথায়ই আসেনি ম্যানচেস্টার সিটি তারকার। নিজের বিশেষ অর্জনের মুহূর্তটি বেশ উপভোগ করেছেন তিনি।
প্যারিসে গত ২৮ অক্টোবর হয় ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’ এর ব্যালন দ’র ২০২৪ অনুষ্ঠান। সেখানে রেয়াল থেকে ৫০ জনের একটি দল যোগ যাওয়ার কথা শোনা যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা বয়কট করে অনুষ্ঠানটি।
এবারের ব্যালন দ’র জয়ের জন্য অনেকের চোখে বাকিদের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন রেয়ালের ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিউস জুনিয়র। কিন্তু বর্ষসেরার পুরস্কারটি ‘ফেভারিট’ ভিনিসিউস পাচ্ছেন না, এমনটা ধারণা করে অনুষ্ঠানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রেয়াল।
শেষ পর্যন্ত সেটাই সত্যি হয়। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভিনিসিউসের চেয়ে ৪১ পয়েন্ট বেশি পেয়ে ব্যালন দ’র ২০২৪ এর জন্য নির্বাচিত হন রদ্রি। তৃতীয় ও চতুর্থ হন রেয়ালের দানি কারভাহাল ও জুড বেলিংহ্যাম।
সেই অনুষ্ঠানে ভিনিসিউস কিংবা রেয়াল না যাওয়ায় সমস্যার কিছু দেখছেন না রদ্রি। সিটির লিগ শিরোপা জয়ে এবং স্পেনের রেকর্ড চতুর্থ ইউরো জয়ে বড় অবদান রাখা এই মিডফিল্ডার ‘কোপ’ কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, অনুষ্ঠানে রেয়ালের অংশ না নেওয়াকে পাত্তাই দেননি তিনি।
“এটা (ভিনিসিউস ব্যালন দ’র অনুষ্ঠানে না থাকা) কেন আমাকে কষ্ট দেবে? সময়টা আমার ছিল, পরিবারের সঙ্গে উপভোগ করার। যারা সেখানে ছিল না এবং অংশ নিতে চায়নি, তাদের নিয়ে সবার শেষে ভাবব আমি।”
“মানুষের যাকে ভালো লেগেছে তাকে ভোট দিয়েছে, আর এই বিষয়টা আমার পছন্দ। এটা সবার ব্যক্তিগত মতামত। আমি ভিনিসিউসকে প্রচুর সম্মান করি, যারা আমাকে চেনে তারা জানে…আমি কারভাহাল ও ভিনিসিউস দুইজনকেই ভোট দিতাম। সম্ভবত কারভাহাল দ্বিতীয় পছন্দ থাকত।”
২০১৯ সালে সিটিতে যোগ দেওয়ার আগে স্প্যানিশ ক্লাব ভিয়ারেয়াল ও আতলেতিকো মাদ্রিদে খেলেছেন রদ্রি। ইংলিশ ক্লাবটির সঙ্গে ২০২৭ সাল পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে তার। তবে গুঞ্জন রয়েছে, রেয়ালে যোগ দিয়ে লা লিগায় ফিরতে পারেন তিনি
এসব নিয়ে অবশ্য ভাবছেন না রদ্রি। সিটিতে ভালো থাকার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
“(চুক্তি নবায়ন) এখন আমার অগ্রাধিকার নয়। আমি (চোট থেকে) সেরে উঠতে চাই এবং এরপর আমরা দেখব...আমি বর্তমানে থাকতে পছন্দ করি, সেখানে (সিটিতে) খুব সুখে আছি, ইংল্যান্ডে আসার পর থেকে এটা আমার ঘর হয়ে গেছে।”
“কোনো দরজা বন্ধ করে দেওয়ার কোনো মানে হয় না। তবে আমি সেখানে খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।”