ইতালিয়ান ফুটবল
কোচের মতোই সমালোচনার বিষাক্ত তীর সইতে হচ্ছে দলটির পর্তগিজ ফরোয়ার্ড জোয়াও ফেলিক্সকে।
Published : 28 Feb 2025, 04:09 PM
সেরি আয় দুই মৌসুম আগে সবশেষ শিরোপা জয়ী এবং গতবারের রানার্সআপ এসি মিলানকে এবার যেন ব্যর্থতা আষ্টেপৃষ্টে চেপে ধরেছে। নতুন কোচ সের্জিও কন্সিকাওয়ের হাত ধরে জানুয়ারিতে যে আশার সঞ্চার হয়েছিল, সেটা এখন যেন সুদূর অতীত। তীব্র সমালোচনার মুখে ‘একটু সম্মান’ চাইলেন এই পর্তুগিজ কোচ।
গত বছরের একেবারে শেষ দিকে মিলানের দায়িত্ব নিয়ে পথহারা দলটিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নেওয়ার লক্ষ্য স্থির করেন কন্সিকাও। আর দায়িত্বের প্রথম সপ্তাহেই জানুয়ারির শুরুতে ইউভেন্তুস ও ইন্টার মিলানকে হারিয়ে ইতালিয়ান সুপার কাপ জিতে বিস্ময় উপহার দেয় তার দল।
তাতে কন্সিকাওকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদও চড়তে থাকে। তবে গত দুই সপ্তাহেই সবকিছু যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। নামে-ভারে অনেক পিছিয়ে থাকা ফেইনুর্ডের বিপক্ষে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায়ের পর, সেরি আয় মিলান হেরে বসেছে তোরিনো ও বোলোনিয়ার মাঠে।
সবশেষ বৃহস্পতিবার রাতে বোলোনিয়ার মাঠে প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েও, দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোল খেয়ে হেরে যায় মিলান।
লিগে সপ্তম হারের পর আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার আশা আরেকটু ফিকে হয়ে গেছে মিলানের। ২৬ ম্যাচে ১১ জয় ও ৮ ড্রযে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে আছে তারা, শীর্ষ চার থেকে ৮ পয়েন্ট পিছিয়ে পড়েছে।
লিগে এখনও বাকি ১২ রাউন্ড, তাই এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করতেই পারে দলটি। তবে, এখন পর্যন্ত তাদের যে এলোমেলো পারফরম্যান্স, আক্রমণভাগে সঠিক জ্বালানির ঘাটতি (এবারের লিগে মাত্র ৩৮টি গোল করেছে তারা, টেবিলের প্রথম ৯ দলের মধ্যে সর্বনিম্ন), সবকিছু মিলিয়ে খুব একটা আশার জায়গা অবশ্য নেই।
এসব নেতিবাচক চিত্রই হয়তো দলটির সমর্থকদের খুব একটা আশাবাদী করছে না। কোচের প্রতি তাদের তীব্র ক্ষোভেই সেটার প্রমাণ মিলছে। তবে, এত অল্প সময়ে তাকে উদ্দেশ্য করে এত বেশি সমালোচনা মানতে পারছেন না কন্সিকাও।
“মানুষ সবসময় আমার অবস্থা নিয়ে কথা বলে, এটা ঠিক নয়। আমি শূন্য থেকে এখানে আসিনি: আমার নামের পাশে ১০০টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ আছে, আমি ১৩টি শিরোপা জিতেছি, আর লোকে কিনা আমার সম্পর্কে কথা বলতে আনন্দ পায়।”
“আমার পরিবার অনেক খারাপ কিছু পড়ছে, আর এটা ঠিক নয়। যদি তারা (ক্লাব) বলে দেয় যে আমাকে আর প্রয়োজন নেই, আমি ব্যাগ গুছিয়ে চলে যাব।”
কোচের মতো ক্লাবে সুখে নেই তার স্বদেশি ফরোয়ার্ড জোয়াও ফেলিক্সও। চেলসি থেকে এই মাসের শুরুতে ধারে দলটিতে যোগ দিয়ে, অভিষেক ম্যাচেই ইতালিয়ান কাপে রোমার বিপক্ষে জালের দেখা পান তিনি। সেই থেকে সেরি আ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দলের প্রতিটি ম্যাচের শুরুর একাদশে ছিলেন ২৬ বছর বয়সী এই ফুটবলার; কিন্তু আর একটি গোলও করতে বা করাতে পারেননি।
তার পারফরম্যান্সের কড়া সমালোচনা করে বৃহস্পতিবার ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যম 'কোররিয়ের দেল্লা সেরা' লিখেছে, “মাঠে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা জোয়াও ফেলিক্সের, যাকে দেখা যায় না, যার কথা শোনাও যায় না। সে কখনও নড়াচড়া করে না, এমনকি তার সতীর্থরাও তাকে এড়িয়ে চলছে।”