চলতি মৌসুমে মাঠের পাশাপাশি বাইরের বিষয়ের বিপক্ষেও লড়তে হচ্ছে ভিনিসিউস জুনিয়রকে। তার প্রতি বর্ণবাদী আচরণ কোনোভাবেই থামছে না। কঠিন সময়ে আবারও ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের পাশে দাঁড়িয়েছেন কার্লো আনচেলত্তি। রিয়াল মাদ্রিদ কোচ মনে করেন, এই ঘটনাগুলি শুধু তার শিষ্যের জন্য নয়, গোটা স্প্যানিশ ফুটবলের জন্যই সমস্যা।
২০২১ সালের নভেম্বরে বার্সেলোনার মাঠে শুরু, এরপর গত সেপ্টেম্বরে আতলেতিকো মাদ্রিদের মাঠে ও ডিসেম্বরের শেষ দিকে রিয়াল ভাইয়াদলিদের মাঠে বর্ণবাদী আচরণের শিকার হন ভিনিসিউস। সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকে সবশেষ গত রোববার লিগে মায়োর্কার বিপক্ষে রিয়ালের ম্যাচেও।
স্ট্রিমিং প্রতিষ্ঠান দাজন-এর সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মায়োর্কার সমর্থকদের একটি অংশ ভিনিসিউসকে ‘বানর’ বলে ডাকছে।
মাঠেও কঠিন সময় পার করতে হয়েছে ভিনিসিউসকে। ম্যাচে ১০ বার ফাউল করা হয় তাকে। লা লিগায় চলতি মৌসুমে এক ম্যাচে এত ফাউল করা হয়নি আর কোনো ফুটবলারকে। ইউরোপের শীর্ষ সাত লিগ মিলিয়ে এই মৌসুমে অনেকটা ব্যবধানে সর্বোচ্চ ফাউলের শিকার হওয়া খেলোয়াড়ও ২২ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
ক্লাব বিশ্বকাপে খেলতে ভিনিসিউসরা এখন আছেন মরক্কোয়। সেমি-ফাইনালে মিশরের ক্লাব আল-আহলির বিপক্ষে আগামী বুধবার খেলবে ইউরোপের সফলতম ক্লাবটি। এই ম্যাচের আগে মঙ্গলবার আনচেলত্তির সংবাদ সম্মেলনে ওঠে ভিনিসিউসের প্রতি বর্ণবাদী আচরণের বিষয়টি।
ইতলিয়ান কোচ বলেন, ক্রমাগত চলা এই বিষয়টির কোনো ব্যাখা নেই তার কাছে। এর সমাধান করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
“মনে হচ্ছে সমস্যাটি ভিনিসিউসের, তবে এটি এমন নয়। এটি স্প্যানিশ ফুটবলের সমস্যা এবং তা অবশ্যই সমাধান করা উচিত। আমি যে প্রশ্নটি করি তা হলো: এটি কি ভিনিসিউস নাকি তার সতীর্থদের সমস্যা? তার সতীর্থদের কি ভিনিসিয়াসকে রক্ষা করতে হবে? ভিনিসিউস এমন কিছুর শিকার হচ্ছে যা আমি বুঝতে পারি না।”
ভিনিসিউসের প্রতি সম্ভাব্য ‘হেট ক্রাইম’ নিয়েও তদন্ত করছে স্প্যানিশ পুলিশ। গত জানুয়ারিতে মাদ্রিদ ডার্বির আগে আতলেতিকো মাদ্রিদের ট্রেনিং সেন্টারের পাশে সেতু থেকে একটি ম্যানিকিন বা মানবাকৃতির পুতুল ঝুলিয়ে দেওয়া হয়, যেটির গায়ে ছিল ২০ নম্বর জার্সি। ভিনিসিউসের জার্সি নম্বরও ২০। পাশেই ছিল আতলেতিকোর লাল-সাদা একটি ব্যানার, যেখানে লেখা ছিল ‘রিয়ালকে ঘৃণা করে মাদ্রিদ।’