লা লিগা
এই ফেব্রুয়ারিতে লা লিগায় চার ম্যাচ খেলে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল কার্লো আনচেলত্তির দল।
Published : 23 Feb 2025, 11:17 PM
অন্য সব প্রতিযোগিতায় সবকিছু ঠিকঠাক চললেও, লা লিগায় হতাশা ঘিরে ধরেছিল রেয়াল মাদ্রিদকে। অবশেষে এখানেও ব্যর্থতার গণ্ডি থেকে বের হতে পারল তারা। দুই অর্ধের দুই গোলে অনায়াসেই হারাল জিরোনাকে।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে রোববার লা লিগার ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতেছে কার্লো আনচেলত্তির দল। লুকা মদ্রিচের চমৎকার গোলে তারা এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভিনিসিউস জুনিয়র।
চলতি মাসে লা লিগায় এর আগে তিনটি ম্যাচ খেলে জয়শূন্য ছিল রেয়াল মাদ্রিদ; এস্পানিওলের মাঠে ১-০ গোলে হারের পর আতলেতিকো মাদ্রিদ ও ওসাসুনার সঙ্গে ড্র করেছিল তারা। তবে ওইসব হতাশাজনক ফলের মাঝে অন্য প্রতিযোগিতায় তিনটি ম্যাচ খেলে জিতেছিল সবগুলো। অবশেষে এবার ঘরোয়া লিগেও পেল জয়ের দেখা।
২৫ ম্যাচে ১৬ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ফিরল শিরোপাধারীরা। সমান পয়েন্ট নিয়ে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা।
তাদের চেয়ে ১ পয়েন্ট কম নিয়ে তৃতীয় স্থানে আতলেতিকো মাদ্রিদ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে দাপুটে জয়ের চার দিনের মধ্যে একই আঙিনায় লিগ ম্যাচে মাঠে নামে রেয়াল মাদ্রিদ; কিন্তু শুরুতে তাদের খেলায় সেই গতি উধাও। ঢিমেতালে এগিয়ে চলা ম্যাচের ২০তম মিনিটে দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে ডি-বক্সে ঢুকে পড়লেন ভিনিসিউস। কিন্তু সামনের একজনকে ফাঁকি দিতে গিয়ে বল হারিয়ে ফেলেন তিনি।
নিজেদের সেরা রূপের ধারেকাছে না থাকলেও, প্রতিপক্ষের ওপর চাপ ঠিকই ধরে রাখে ভিনিসিউস-এমবাপেরা।
এর মাঝেই ৩০তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে দারুণ এক সুযোগ তৈরি করে জিরোনা। তবে ডাচ মিডফিল্ডার ডনি ফন ডি বিকের শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন থিবো কোর্তায়া।
মদ্রিচের অসাধারণ নৈপুণ্যে ৪১তম মিনিটে এগিয়ে যায় রেয়াল। পরপর দুটি কর্নার আদায় করে নেয় তারা। দ্বিতীয়টির ফলশ্রুতিতে ডি-বক্সের অনেক বাইরে বল বুক দিয়ে নামিয়ে হাওয়ায় ভাসিয়ে নেওয়া শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ক্রোয়াট মিডফিল্ডার। গোলরক্ষক ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি।
৫৮তম মিনিটে দারুণ গোছানো এক আক্রমণে দ্বিতীয় গোল পেতে পারতো রেয়াল; কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ভিনিসিউসের জোরাল শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও ক্রসবারে লাগে।
এই অর্ধেও প্রায় ৬৫ শতাংশ সময় পজেশন রেখে আক্রমণ করতে থাকে রেয়াল, বিরতির পর থেকে চাপ ধরে রাখে একচেটিয়া। সুযোগও পাচ্ছিল তারা, কিন্তু জালের দেখা আর মিলছিল না।
৮০তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর নিশ্চিত সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি এমবাপে। মদ্রিচের থ্রু বল ধরে বক্সে ঢুকে শট নেন ফরাসি তারকা, একটু এগিয়ে রুখে দেন জিরোনা গোলরক্ষক।
তিন মিনিট পর আর ব্যর্থ হয়নি তারা। গতিময় এক পাল্টা আক্রমণে এমবাপের পাস বক্সে পেয়ে, সঙ্গে লেগে থাকা প্রতিপক্ষকে কোনো সুযোগ না দিয়ে প্রথম ছোঁয়ার শটে গোলটি করেন ভিনিসিউস।
যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে আরেকটি দারুণ সুযোগ পেয়েও সফল হননি এমবাপে। তার নিচু জোরাল শটটি ক্ষীপ্রতায় পা বাড়িয়ে আটকে ব্যবধান বাড়তে দেননি জিরোনা গোলরক্ষক।
২৫ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে ১২ নম্বরে আছে জিরোনা।