‘হামজার প্রভাব ছিল প্রবল’

হামজা চৌধুরীর উপস্থিতির কারণে ম্যাচে কোনো সময় ভারতের চেয়ে পিছিয়ে আছি, এমনটা মনে হয়নি বাংলাদেশ কোচের।

নিজের অভিষেকে সবটুকু আলো কেড়ে নিয়েছেন হামজা চৌধুরী। ছবি: বাফুফে

প্রথমার্ধে বলের নিয়ন্ত্রণ, সুযোগ তৈরির দিক থেকে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার তপু বর্মন চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ায় দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের একটু রক্ষণের চাদরে মুড়িয়ে নিয়েছিল দল। তবে হামজা চৌধুরী ম্যাচ জুড়েই ছিলেন সপ্রতিভ, সচ্ছন্দ। নিজে যেমন আলো ছড়িয়েছেন মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ক্ষেত্রে, নিখুঁত পাস দিয়ে, তেমনি সতীর্থদের উপরও ভীষণ প্রভাব রেখেছেন বলে মনে করেন হাভিয়ের কাবরেরা।

২০২৭ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে ‘সি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মঙ্গলবার গোলশূন্য ড্র করে বাংলাদেশ। শিলংয়ের জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচে অতিথি বাংলাদেশের মুঠোয় ছিল ম্যাচের লাগাম।

এ ম্যাচ দিয়েই ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হামজার অভিষেক হয় লাল-সবুজের জার্সিতে। ম্যাচের আগে থেকেই শেফিল্ড ইউনাইটেডে খেলা এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারকে নিয়ে উচ্ছ্বাসের কমতি ছিল না জামাল-রাকিবদের মতো কোচ কাবরেরার মনেও। এদিন ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ কোচ বললেন, ম্যাচে হামজার প্রভাবের কথা।

“একজন খেলোয়াড়ের চেয়ে তার মান বেশি, সে একজন টিম প্লেয়ার এবং একজন মানুষ হিসেবে সে দলের বাকিদের আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। কেবল বল উদ্ধার করার সামর্থ্য দিয়ে নয়, দারুণ সব পাস দিয়ে, সহজে বল না হারানোর মানসিকতা সে বাকিদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছিল এবং ডাগআউটে দাঁড়িয়ে হামজার খেলা দেখার পর আমি অনুভব করেছি, তার প্রভাব ছিল প্রবল।”

আগামী ১৮ নভেম্বর ফিরতি লেগে নিজেদের মাঠে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। শিলং থেকে সুনিল ছেত্রি-বিশাল কাইথদের কাছ থেকে ১ পয়েন্ট আদায় করে নেওয়ায় কাবরেরা দ্বিতীয় লেগ নিয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী।

অবশ্য ভারতের বিপক্ষে ফিরতি লেগের ম্যাচের আগেই ১০ জুন সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। হামজা থাকায় এই ম্যাচ নিয়ে আরও বড় স্বপ্ন দেখছেন কাবরেরা।

“দলে হামজা যোগ দেওয়ার আগে থেকে আমরা নিজেদের মাঠে শক্তিশালী। এখন সে থাকায় এবং যেভাবে সে খেলল, যে মানসিকতা আজ দেখাল, আমাদের সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে পরের ম্যাচে জয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত। এরপর ধাপে ধাপে আমরা পদক্ষেগুলো নেব।”

“হামজার পাশে খেলা আপনাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করবে এবং নিরাপদ অনুভব করাবে। সে ম্যাচটা খুব ভালোভাবে পড়তে পেরেছে। কখনও কখনও সে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ড থেকে সেন্টার ব্যাকে নেমে এসেছে- এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়ার মান তার আছে।”