ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ
ফ্রান্সের শুরুর একাদশে এখন আর ‘অটোমেটিক চয়েজ’ নন অঁতোয়ান গ্রিজমান।
Published : 28 Jun 2024, 09:57 AM
মাস খানেক আগেও যা ছিল প্রায় অকল্পনীয়, সেটিই এখন বাস্তব। ফ্রান্সের শুরুর একাদশে জায়গা হারিয়েছেন অঁতোয়ান গ্রিজমান। সহসাই তা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনাও কম। এই তারকার ওপর ফ্রান্স কোচ দিদিয়ে দেশমের নির্ভরতার গল্প কি তাহলে শেষ হতে চলেছে?
চলতি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অনেক সুযোগ হারান গ্রিজমান। সেটারই মূল্য দিতে হয় তাকে। শেষ রাউন্ডে পোল্যান্ডের বিপক্ষে তাকে ছাড়াই একাদশ সাজান দেশম। আগামী সোমবার শেষ ষোলোয় বেলজিয়ামের মুখোমুখি হবে দুইবারের ইউরোপ জয়ীরা। এই ম্যাচেও আতলেতিকো মাদ্রিদ ফরোয়ার্ডের একাদশে ফেরার নিশ্চয়তা নেই।
৩৩ বছর বয়সী এই ফুটবলারকে একাদশ থেকে বাদ দেওয়ার ব্যাখ্যায় দেশম সাংবাদিকদের বলেন, “আমি যে বিকল্পগুলো বেছে নিয়েছিলাম, এর সঙ্গে সম্পর্কিত একটি ছিল এটি।”
পোল্যান্ডের খেলোয়াড়রা শারীরিকভাবে শক্তিশালী হওয়ায় আক্রমণে গতিময় খেলোয়াড়দের বেছে নেন দেশম। বেলজিয়ামের বিপক্ষেও কোচের পরিকল্পনা থাকতে পারে একই। সেক্ষেত্রে নকআউট পর্বের শুরুতেও বেঞ্চে থাকতে হতে পারে গ্রিজমানকে।
কিছুদিন আগেও এমন কিছু ভাবা যেত না। গ্রিজমান ও দেশমের জুটিকে মনে করা হয় আন্তর্জাতিক ফুটবলের দীর্ঘ ও সফলতম এক যুগল। দেশমের দলে বিভিন্ন ভূমিকায় বড় নির্ভরতা ছিলেন গ্রিজমান। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে তো একজন ‘জেনুইন’ মিডফিল্ডার হিসেবে নিজেকে নতুন করে উদ্ভাবন করেন তিনি। ‘নাম্বার এইট’ ভূমিকায় খেলে দলকে এনে দেন সাফল্য।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বড় টুর্নামেন্টে (বিশ্বকাপ, ইউরো) ফ্রান্সের আউটফিল্ড খেলোয়াড় হিসেবে লিলিয়ান থুরামের ৩২ ম্যাচ খেলার রেকর্ড স্পর্শ করেন গ্রিজমান। ইউরোয় ফ্রান্সের টানা ১১ ম্যাচে নামেন শুরুর একাদশে। পোল্যান্ডের বিপক্ষে একাদশে জায়গা হারানোর পর দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নেমে ছাড়িয়ে যান থুরামের রেকর্ড। ২০১৪ সালে অভিষেকের পর থেকে বিশ্বকাপ কিংবা ইউরোয় ফ্রান্সের কোনো ম্যাচেই বাইরে থাকতে হয়নি তাকে।
ফ্রান্সের কোচ হিসেবে দেশমের প্রতিটা বড় টুর্নামেন্টের অংশ তিনি। জাতীয় দলের হয়ে খেলেন টানা ৮৪ ম্যাচ। গত মার্চে সেই যাত্রায় ছেদ পড়ে চোটের কারণে।
দেশমের দলে মিডফিল্ড ও আক্রমণভাগের মধ্যে সংযোগস্থাপনকারি হিসেবে খেলে থাকেন তিনি। এই বছরের শুরুতে তাকে নিয়ে কোচ বলেছিলেন, “সে এমন একজন খেলোয়াড়, যে সত্যিই একটি দলকে পরিবর্তন করে দিতে পারে, কারণ সে খুব পরিশ্রমী ও প্রতিভাবান। অবশ্যই তার মূল দায়িত্ব বল দখলে নেওয়া নয়; তার বাম পা খুবই কার্যকর, সে অন্যদের জন্য দারুণ সুযোগ তৈরি করে।”
তবে সেই উজ্জ্বলতা এখন অনেকটাই হারিয়ে গেছে, বিশেষ করে ইউরোয় অস্ট্রিয়া ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তার পারফরম্যান্স সেটাই বলে।