গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে প্রায় ১৪ যুগলের যৌতুকবিহীন বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার বাদ আসর ইজতেমার বয়ান মঞ্চের পাশেই যৌতুকবিহীন বিয়ের আসর বসে বলে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম জানান।
তিনি বলেন, ভারতের দিল্লি মারকাজের মাওলানা সা’দ কান্ধলভী বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ ময়দানে মাশোয়ারার কামড়ায় যৌতুকবিহীন বিয়ে পড়ান। এবার বয়ান মিম্বারে বিয়ে পড়ানো হয়নি ।
“বিয়েতে মোহরানা ধার্য করা হয় ‘মোহর ফাতেমি’র নিয়মানুযায়ী। এ নিয়ম অনুযায়ী, মোহরানা ধরা হয় দেড়শ তোলা রূপা বা এর সমমূল্যের অর্থ।”
ইসলামি শরিয়াহ্ মেনে তাবলিগের রেওয়াজ অনুযায়ী, প্রতিবারের মত এবারও দ্বিতীয় পর্বে যৌতুকবিহীন বিয়ের আসর বসে। এ জন্য দুদিন আগ থেকেই বর-কনের নাম নিবন্ধন করা হয়।
১৪ বরের একজন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ওমর। তিনি বরিশালের কাউনিয়া উপজেলার রাঢ়িমহল গ্রামের রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী মো. ফারুক হোসেনের ছেলে।
ফারুক হোসেন জানান, তিনি তাবলিগ জামাতের একজন কর্মী। তার ইচ্ছে ছিল মুসলমানের রীতিনীতি অনুযায়ী ছেলের যৌতুকবিহীন বিয়ে। আর তা অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমার মুরুব্বিদের উপস্থিতিতে। এ ইচ্ছে পূরণের জন্যই তিনি ছেলেকে এবং মেয়ে পক্ষের লোকজন নিয়ে ইজতেমা ময়দানে গিয়েছিলেন।
এদিকে, ভারতের দিল্লি মারকাজের মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর বড় ছেলে ইউসুফ বিন সাদ বিয়ে সংক্রান্ত এক বয়ান দেন।
বয়ানে ইউসুফ সাদ বলেন, “বিবাহ হলো একটা ইবাদত। দুনিয়ার মধ্যে সবচেয়ে পবিত্র বন্ধন হল বিবাহ। তবে বিবাহ হতে হবে সুন্নাহ অনুযায়ী। যে বিবাহে খরচ যত কম হবে তাতে বরকত ও রহমত তত বেশি হবে, বিবাহ সাদাসিধে হলে বিবাহ বরকতময় হয়। বিবাহ যখন দ্বিনের মধ্যে হবে তখন তা সহজ হবে।”
আয়োজকরা জানান, কনের সম্মতিতে দুপক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয় এসব বিয়ে। বিয়ের পর বয়ান মঞ্চ থেকেই মোনাজাতের মাধ্যমে নবদম্পতিদের সুখ-সমৃদ্ধিময় জীবন কামনা করা হয়। এ সময় মঞ্চের আশপাশের মুসল্লিদের মাঝে খোরমা-খেজুর ছিটিয়ে দেওয়া হয়।