“আবহাওয়ার বর্তমান অবস্থা অব্যাহত থাকবে। তাপমাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে।”
Published : 17 Apr 2024, 10:03 PM
চুয়াডাঙ্গায় বুধবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা তাপ প্রবাহের ফলে জেলা শহরের সড়কে মানুষজনের চলাচল কমে গেছে।
সন্ধ্যা ৬টায় চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “১২ এপ্রিল থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ। দুদিন ধরে তাপমাত্রা বিরাজ করছে সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রির উপরে। আজ হয়েছে ৪০.৮ ডিগ্রি। এটা মৌসুমের সর্বোচ্চ।
“আবহাওয়ার বর্তমান অবস্থা অব্যাহত থাকবে। তাপমাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে”, আশঙ্কা জামিনুর রহমানের।
এদিকে সকাল থেকে চুয়াডাঙ্গায় ছিল ঝাঁঝালো রোদ। দিনভর তীব্র রোদে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে আসেননি।
দুপুর ১২টার পর থেকে শহরের রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি ছিল কম। দুপুর ২টার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা দেখা গেছে। এ সময়ে বেশিরভাগ মানুষ ছিলেন ঘরে, নিরাপদ আশ্রয়ে।
তাপপ্রবাহের মধ্যেই শ্রমজীবী মানুষকে কাজের প্রয়োজনে ঘরের বাইরে আসতে হয়েছে। রিকশা ও ভ্যান চালকরা রোদ-গরমের কষ্ট মেনে নিয়ে কাজ করেছেন। তবে যাত্রী ছিল কম।
শহরের শহীদ হাসান চত্বরে ফেরি করে গামছা, তোয়ালে বিক্রি করছিলেন আশরাফ আলী। তিনি বলছিলেন, “শহরে লোকজন কম। বিক্রি করবো কার কাছে? বাইরে ঘুরছি গরমের কষ্টের মধ্যে। বেচাকেনাও কম। গরম কমলে শান্তি পেতাম।”
বেসরকারি সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশনে চাকরি করেন কানিজ সুলতানা। তিনি বলছিলেন, “কাজের প্রয়োজনে বাইরে এসেছি। তীব্র রোদ-গরমে টিকে থাকা যাচ্ছে না। কাজও করা যাচ্ছে না। রাস্তা দিয়ে ভ্যান চালিয়ে যারা যাচ্ছেন তাদের কষ্ট সবচেয়ে বেশি। তারা মাথায় গামছা রেখে ভ্যান চালাচ্ছেন, রোদ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন। গরমে কোনোভাবেই টিকে থাকা যাচ্ছে না।”
সদর উপজেলার আলোকদিয়া এলাকার বীর মু্ক্তিযোদ্ধা হাফিজ উদ্দিন বাবু বলেন, “এই গরমে বাইরে বেরুতে ইচ্ছে করছে না। জরুরি কাজ ছিল, আসতে হয়েছে। ঝাঁঝালো রোদ। মুখ হাত-পা জ্বলছে। চলাফেরা করা যাচ্ছে না। বৃষ্টি হলে শান্তি মিলবে।”