বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাককু টাউন হল মাঠের গণসমাবেশে মঞ্চে স্থান না পেয়ে কর্মীদের নিয়ে একপাশে অবস্থান নিয়েছেন।
শনিবার সকালেই কুমিল্লা জেলা বিএনপির সাবেক এই যুগ্ম সম্পাদক নিজের অনুসারী নেতাকর্মী নিয়ে সমাবেশস্থলে আসেন। তিনি টাউন হলের রফিকুল ইসলাম মুক্তমঞ্চে অবস্থান নেন।
তার কিছুটা দূরেই নেতাকর্মীদের নিয়ে অবস্থান করছেন বহিষ্কৃত জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কুমিল্লা মহানগরের সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার।
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে গত ১৫ জুনের কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে আজীবনের জন্য বহিষ্কৃত হন মনিরুল হক সাককু এবং নিজাম উদ্দিন কায়সার।
দল থেকে বহিষ্কৃত হলেও বিএনপির গণসমাবেশ সফল করতে প্রচার চালিয়েছেন সাককু ও নিজাম।
দুপুরে সমাবেশের মাঠে মনিরুল হক সাককু সাংবাদিকদের বলেন, “দল আমাকে বহিষ্কার করলেও আমি দল ছাড়ব না। ৪৪ বছর ধরে বিএনপি করছি। আমি সমাবেশ শুরু হওয়ার বহু আগে থেকে প্রচার চালিয়েছি।”
“হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে গত চার দিন ধরে খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করেছি। সমাবেশ উপলক্ষে আমি সকাল ৯টায় টাউন হলে এসেছি। কর্মীদের সঙ্গে মাঠে আছি, থাকব।”
নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, “আমি বিএনপির রাজনীতি করি। কী পরিস্থিতিতে নির্বাচন করেছি সবাই জানে; দলকেও বিষয়টি জানিয়েছি। আজ সমাবেশস্থলে এসেছি বিএনপির কর্মী হিসেবে।”
গণসমাবেশের আগে পরিবহন ধর্মঘটের আশঙ্কায় বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশের জেলা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা দু-তিনদিন আগ থেকেই কুমিল্লায় আসতে থাকেন। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের দুইবারের মেয়র মনিরুল হক সাককু তাদের অনেকের জন্যই থাকা ও খাবারের ব্যবস্থা করেন বলে বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান।
আরও পড়ুন: