বরিশালে সন্ধ্যা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবে নিখোঁজ দুইজনের মধ্যে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বানারীাড়া থানার ওসি মো. মাকসুদ আলম চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ডুবন্ত বাল্কহেডের ইঞ্জিন রুম থেকে স্থানীয়রা চালকের সহকারী মো. কালামের লাশ উদ্ধার করেন।
সোমবার রাত ৯টার দিকে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার মসজিদবাড়ি এলাকায় ‘মর্নিং সান’ লঞ্চের ধাক্কায় ‘এমবি ইফতি+রিজভী’ নামের বাল্কহেডটি ডুবে যায়।
মৃত কালাম (৪৭) পিরোজপুরের স্বরুপকাঠি উপজেলার সুঠিয়াকাঠি ইউনিয়নের নান্দুহার এলাকার মাইনউদ্দিনের ছেলে।
বাল্কহেডের চালক মিলন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তার সন্ধানে তল্লাশি চলছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ওসি জানান।
২৫ বছর বয়সী মিলন একই এলাকার মো. বাদশা মিয়ার ছেলে ।
বাল্কহেডের মালিক পক্ষের কাজী হাবিবুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সোমবার রাত ৯টার দিকে সন্ধ্যা নদীর বানারীপাড়া উপজেলার মসজিদ বাড়ী ইটভাটা এলাকায় পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া থেকে ঢাকাগামী লঞ্চের ধাক্কায় বালু বোঝাই বাল্কহেডটি ডুবে যায়।
এ সময় মিলন ও কালাম নিখোঁজ হয়। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা তখন তাদের কোনো সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে।
উজিরপুর মডেল থানার ওসি মোমিনউদ্দিন জানান, দুর্ঘটনার পর লঞ্চটি উজিরপুর উপজেলার চৌধুরীর ঘাটে নোঙ্গর করে। সেখানে লঞ্চের মেরামত শেষে রাত ৩টার দিকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
দুর্ঘটনার সময় লঞ্চে আনুমানিক ৫ শতাধিক যাত্রী ছিল বলে বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষে লঞ্চটির সামনের অংশ ফেটে পানি প্রবেশ করেছে। তবে এ দুর্ঘটনায় কোনো যাত্রীর ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।