রহিমাদের বিচার দাবি অপহরণ মামলার আসামির স্বজনদের

রহিমা অপহরণ মামলার আসামির স্বজনদের দাবি, জমির বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে রহিমা বেগম আত্মগোপনে ছিলেন।

খুলনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Sept 2022, 02:39 PM
Updated : 27 Sept 2022, 02:39 PM

রহিমা বেগম ও তার মেয়ে মরিয়ম মান্নানসহ পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন রহিমাকে অপহরণ মামলার আসামিদের স্বজনরা।   

মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে রহিমা বেগম অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন। 

এতে লিখিত বক্তব্য পড়েন রহিমা বেগম অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার মো. মহিউদ্দীনের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে মালিহা মহিউদ্দিন। 

খুলনার মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়া থেকে গত ২৭ অগাস্ট নিখোঁজ হন ৫৫ বছর বয়সী রহিমা বেগম। এরপর থেকে তার সন্ধান করছিলেন তার মেয়ে মরিয়ম মান্নানসহ চার বোন। এনিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনও করা হয়। 

গত বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের ফুলপুরে তার মায়ের লাশ পাওয়া গেছে বলে মরিয়ম মান্নান ফেইসবুক পোস্ট দেন। এরপর এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে তা আলোচনায় আসে। 

নিখোঁজের ২৯ দিন পর আলোচিত রহিমা বেগমকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। 

রহিমা বেগম উদ্ধার হওয়ার পর তাকে অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার আসামির স্বজনরা রহিমা ও তার মেয়েদের বিচার দাবি করেন।   

লিখিত বক্তব্যে মালিহা মহিউদ্দিন বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে রহিমা বেগম আত্মগোপনে ছিলেন। মরিয়ম মান্নানসহ পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতেন। 

তিনি মরিয়ম ও তাদের পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন ও নির্দোষ ব্যক্তিদের মুক্তির দাবি করেন। 

সংবাদ সম্মেলনে অপহরণ মামলায় গ্রেপ্তার খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া, গ্রেপ্তার মো. মহিউদ্দীন, রফিকুল ইসলাম পলাশ, নুরুল আলম জুয়েল ও হেলাল শরীফের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

তারা সবাই খুলনা পৌর শহরের দৌলতপুরের থানাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। 

তাদের দাবি, রহিমা বেগমের পরিবার ‘মামলাবাজ’ হিসেবে এলাকায় পরিচিত। কয়েক বছর আগেও ৮/৯ বছর বয়সী এক শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেছিলেন রহিমা বেগম। এভাবে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তারা প্রতিবেশীদের শায়েস্তা করেছেন। 

প্রতিবেশীদের ঘায়েল করার জন্যই রহিমা বেগম আত্মগোপনে গিয়ে অপহরণের মামলা করা হয়েছে বলে তাদের দাবি। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অন্যরা সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনার কারণে তাদের স্বজনদের অন্যায়ভাবে জেল খাটতে হচ্ছে। তারা গ্রেপ্তারদের দ্রুত মুক্তি চান। 

রহিমা বেগমকে অপহরণের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই পরিদর্শক আবদুল মান্নান বলেন, “আমরা কাউকেই সন্দেহের বাইরে রাখছি না। মামলার বাদী ও তার পরিবারের লোকজন পরিকল্পনা করে এ ঘটনা ঘটাতে পারে। আবার আসামিরাও অপহরণ করাতে পারেন। ঘটনা যাই হোক, এর পেছনের কারণ জমি।”  

আরও পড়ুন:

আমার কলিজা শান্ত হয়েছে: মরিয়ম
রহিমা বেগমকে নিয়ে যা বললো পিবিআই
মুখ খুলেছেন রহিমা বেগম, দাবি ‘অপহরণ’
আদালতে রহিমার জবানবন্দি, থাকবেন মেয়ের জিম্মায়
মা রহিমা বেগমকে নিয়ে ঢাকায় মরিয়ম
যেভাবে উদ্ধার হলেন রহিমা বেগম
‘নিখোঁজ’ খুলনার রহিমা ফরিদপুর থেকে উদ্ধার, ছিলেন ‘আত্মগোপনে’
বস্তাবন্দি লাশটি রহিমার? নিশ্চিত হতে খুলনা থেকে ফুলপুরে মেয়েরা