“আজকে আমি ২৯দিন পরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবো,” ফেইসবুকে লিখেছেন তিনি।
Published : 25 Sep 2022, 03:36 PM
জীবিত অবস্থায় ফরিদপুর থেকে উদ্ধার রহিমা বেগমকে খুলনায় পুলিশের ভিকটিম সেন্টারে দেখে এসে ফেইসবুকে এক পোস্টে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান।
তিনি লিখেছেন, “এই মাত্র দূর থেকে আমি আমার মাকে খুলনা ভিকটিম সেন্টারে দেখলাম। আমি আমার মা'কে খুঁজেছি, পেয়েছি। আমার কলিজা শান্ত হয়েছে।”
খুলনার মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়ার রহিমা বেগমকে পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে চার সপ্তাহ আগে সংবাদ সম্মেলন করেছিল তার পরিবার তখন থেকেই মরিয়ম তার মায়ের খোঁজে ফেইসবুকে আবেগমাখা পোস্ট দিয়ে আসছিলেন, যা মানুষকে ছুঁয়ে যাচ্ছিল।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে ফেইসবুকে এক পোস্টে মরিয়ম খবর দেন, ময়মনসিংহের ফুলপুরে তার মায়ের লাশ পাওয়া গেছে। এরপর বিষয়টি নতুন করে সংবাদ শিরোনামে আসে।
১৩ দিন আগে উদ্ধার করা বস্তাবন্দি লাশটি রহিমা বেগমের কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে ফুলপুরে যান মরিয়মরা চার মেয়ে। তাদের আবেদনে পুলিশ জানায়, তারা ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করবে আদালতের কাছে।
এর একদিন পর শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রাম থেকে রহিমাকে উদ্ধারের কথা জানান খুলনা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা।
রোববার সকালে মাকে নিজের চোখে দেখে আসার কথা জানিয়ে মরিয়ম তার ফেইসবুক পোস্টে বলেন, “আমি নিজের চোখে মাকে দেখেছি। এটাই আমার শান্তি। এর থেকে শান্তি আমার আর কিছুই নেই।
“আমি চাই আমার মায়ের সাথে কথা বলতে, আমি চাই আমার মাকে জড়িয়ে ধরতে। আজকে আমি ২৯দিন পরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবো।”
গত ২৭ অগাস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে পানি আনতে খুলনার মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়ায় বাসা থেকে নিচে নেমে আর বাসায় ফেরেননি রহিমা। সম্ভাব্য সবস্থানে খুঁজেও তার সন্ধান না পেয়ে বাড়ির লোকজন থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে রহিমার মেয়ে আদুরি আক্তার অপহরণের মামলা করেন।
এরপর থেকে তার সন্ধান করছিলেন তার মেয়ে মরিয়ম মান্নানসহ চার বোন। এনিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনও করা হয়।
আদালত ১৪ সেপ্টেম্বর মামলাটি পিবিআইতে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর নথিপত্র বুঝে নেয় পুলিশের ওই ইউনিট।
রহিমা নিখোঁজের ঘটনায় তার স্বামী হেলাল হাওলাদারসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।
‘নিখোঁজ’ খুলনার রহিমা ফরিদপুর থেকে উদ্ধার, ছিলেন ‘আত্মগোপনে’
বস্তাবন্দি লাশটি রহিমার? নিশ্চিত হতে খুলনা থেকে ফুলপুরে মেয়েরা