স্মরণসভায় বক্তারা দ্রুত পার্বত্য চুক্তির অবাস্তবায়িত ধারাগুলো বাস্তবায়নের দাবি জানান।
Published : 10 Nov 2023, 12:35 PM
পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘাত ও হানাহানি বন্ধ করে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা)।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি বিমল কান্তি চাকমা বলেছেন, “জুম্ম জনগণ ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধ হোক তা দেখতে চায়। জুম্ম জনগণ শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্য চায়।”
জেএসএস (এমএন লারমা) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জেলার মহালছড়ির মুবাছড়ির খুলারাম পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত স্মরণ সভায় এ কথা বলেন তিনি।
বিমল কান্তি চাকমা আরও বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরকারী আওয়ামী লীগ সরকারের ২০০৮ সালে ক্ষমতায় যাওয়ার পূর্বে নির্বাচনী ইশতেহারে ‘দিন বদলের সনদ’ পার্বত্য চুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়নে অনেক শক্তিশালী প্রতিশ্রুতি ছিল।
“কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার পর অদ্যাবধি তারা কালক্ষেপণ ও চুক্তি ভঙ্গ করে চলেছে। সামনে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে আমাদের পার্টি গভীর পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে।”
কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অংশুমান চাকমা বলেন, “মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মহান নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা জুম্ম জনগণকে একই পতাকা তলে ও একই জুম্ম জাতীয়তাবাদের স্লোগানে উজ্জীবিত করেছিলেন।”
কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা বলেন, “জুম্ম জনগণের আন্দোলন তথা জাতীয় জীবনের ইতিহাসে এই দিনটি অনেক তাৎপর্য বহন করে।
“মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার চিন্তা-চেতনা, আদর্শ ও দর্শনের বিপরীতে যে দেশ-বিদেশের ষড়যন্ত্রের মদদপুষ্ট কুচক্রীরা ক্ষমতার উচ্চাভিলাষ ও হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার আন্দোলনের পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে জাতীয় জীবনে চরম দুর্যোগ ও বিপর্যয় ডেকে এনেছে জনসংহতি সমিতি ও অধিকারকামী জনগণের তা কখনও বিস্মৃত হতে পারে না।”
স্মরণসভায় বক্তারা সরকারের কাছে দ্রুত পার্বত্য চুক্তির অবাস্তবায়িত ধারাগুলো বাস্তবায়নের দাবি জানান।
১০ নভেম্বর উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক ও পার্টির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আরাধ্যপাল খীসার সভাপতিত্বে স্মরণসভায় শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন জেএসএস (এমএন লারমা) এর রাঙ্গামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক জুপিটার চাকমা, স্বাগত বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক প্রীতি খীসা।
স্মরণসভায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতাকর্মীরা যোগ দেন।
১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় তৎকালীন শান্তিবাহিনীর প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা।