১৬৭টি কেন্দ্রের মধ্যে নৌকার প্রার্থীর নেতৃত্বে ১৩০ দখল করে ব্যালেট পেপারে জোরপূর্বক সিল মারা হয় বলে অভিযোগ করেন মিজার সাঈদ।
Published : 07 Jan 2024, 02:58 PM
নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখল ও ব্যালেটে জোরপূর্বক সিল মারার অভিযোগ তুলে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মিজান সাঈদ ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
রোববার বেলা ২টার দিকে মিজান সাঈদ গণমাধ্যমকে বলেন, কক্সবাজার-৩ আসনে ১৬৭টি কেন্দ্রের মধ্যে নৌকার প্রার্থীর নেতৃত্বে ১৩০ দখল করে ব্যালেট পেপারে জোরপূর্বক সিল মারা হচ্ছে। বিষয়টি লিখিতভাবে জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে।
“আবেদনে ভোট স্থগিত করে পূণঃনির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে। এই সঙ্গে ভোট বর্জন করলাম।”
তবে এ বিষয়ে নৌকার প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমলের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
কক্সবাজার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান বলেন, ঈগল প্রতীকের পক্ষে লিখিত একটি আবেদন কিছুক্ষণ আগে পাওয়া গেছে। ব্যস্ততার কারণে এখনও আবেদনটি পড়েননি। কোনো প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন কি-না জানা নেই।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম বলেন, “কোথাও কেন্দ্র দখলের তথ্য দুপুর ২টা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে।”
এ আসেন জাতীয় পার্টি এবং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির প্রার্থীও নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলেছেন।
জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ তারেক বলেন, নৌকা প্রতীকের পক্ষে রামু উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে নানা প্রভাব বিস্তারের তথ্য রয়েছে। কিছু কেন্দ্র দখলের খবরও পাচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসনের দ্রুত নজর আনা দরকার।
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আব্দুল আউয়াল মামুন বলেন, “আমি ভোটের মাঠে রয়েছি। বিভিন্ন কেন্দ্রে এজেন্ট বের করে দেওয়া হচ্ছে। কিছু কর্মীদের মারধরও করা হচ্ছে। প্রভাব বিস্তার লক্ষ করা যাচ্ছে।”
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমলকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনে ভোটার রয়েছেন চার লাখ ৮৯ হাজার ৬১০ জন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১৬৭টি। এর মধ্যে রামুতে ৬৪টি, কক্সবাজার সদরে ৭৬টি ও নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলায় রয়েছে ৩৬টি ভোটকেন্দ্র।
এ আসনের প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজান সাঈদ (ঈগল), জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ তারেক (লাঙ্গল), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আব্দুল আউয়াল মামুন (হাতঘড়ি), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) শামীম আহসান ভুলু (কুড়েঁঘর), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) মোহাম্মদ ইব্রাহিম (টেলিভিশন)।