২০১১ সালে রুবীকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে দুলাল ও তার পরিবার।
Published : 05 Nov 2023, 01:58 PM
নাটোরের সিংড়া উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে এক নারীকে পিটিয়ে-শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে তার স্বামী ও শাশুড়িকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
রোববার নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম দুই আসামি উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আনিসুর রহমান জানান।
দণ্ডিতরা হলেন- ওই উপজেলার পাকুরিয়া কালাইকুড়ি এলাকার বাসিন্দা দুলার চন্দ্র মহন্ত (৩৯) এবং তার মা গীতা রানী মহন্ত (৭২)।
যাবজ্জীবনের পাশাপাশি তাদেরকে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে রায়ে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০০ সালে দুলালের সঙ্গে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা এলাকার রুবী রানী মহন্তের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তিন সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর থেকেই দুলাল রুবীকে যৌতুকের দাবিতে মারপিট করতেন এবং দ্বিতীয় বিয়ে করার হুমকি দিতেন।
২০১১ সালের ১৫ মার্চ রুবীর বাবাকে বাড়িতে ডেকে যৌতুকের টাকা দাবি করলে তিনি তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে হত্যার ভয় দেখান দুলাল।
এরপর রুবীকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে দুলাল ও তার পরিবার।
এ ঘটনায় রুবীর বাবা তপন চন্দ্র মহন্ত বাদী হয়ে সিংড়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত রোববার দুইজনকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিল।
নারী ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
নাটোরের সদর উপজেলায় গৃহবধূকে ধর্ষণের দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
রোববার নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আনিসুর রহমান জানান।
দণ্ডিত মো. ওয়াজেদ আলী (৫৬) ওই উপজেলার জালালাবাদ টাঙ্গাইল পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৫ জুন ওই এলাকা থেকে ফাঁকা মাঠ দিয়ে পাশের গ্রামে যাচ্ছিলেন ওই গৃহবধূ।
এ সময় একা পেয়ে ওয়াজেদ হঠাৎ তাকে জোর করে পাটক্ষেতে নিয়ে গিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। এরপর তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। বিচার কাজ শেষে আদালত এ রায় দেয়।
রায়ে আদালত আসামি ওয়াজেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একই সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।