পুলিশ বলছে, ইউপি চেয়ারম্যান একরার হোসেনের ভাই রানা, ভাতিজা রাজীব হোসেন ও ঘনিষ্ট শামীম মিয়াসহ জড়িত বাকিরা পালিয়ে গেছে।
Published : 31 Mar 2024, 04:05 PM
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে অস্ত্রের প্রদর্শনী ও তিনজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একরার হোসেনের হাতিয়া গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শনিবার রাতে তাদের আটক করা হয় বলে দিরাই থানার ওসি (তদন্ত) রতন দেবনাথ জানান।
এর আগে বিকালে ওই হাতিয়া গ্রামে সংঘর্ষের সময় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই ও ভাতিজারা বন্দুকের গুলি ছোড়ে বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের ভাষ্য।
এ ঘটনায় রফু মিয়া, এওয়ার মিয়া ও সমসু মিয়াসহ ৪ থেকে ৫ জন গুলিবিদ্ধ হন বলে পুলিশ জানায়।
অস্ত্রের প্রদর্শন ও গোলাগুলিতে আটকরা হলেন- ইউপি চেয়ারম্যানের ফুফুতো ভাই দবির মিয়া ও তার ছেলে জাফরান মিয়া।
ঘটনার বর্ণনায় পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউপি চেয়ারম্যান একরার হোসেনের লোকজন বন্দুক নিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হয়। এ সময় গুলিতে প্রতিপক্ষের তিনজন আহত হন। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে বেধে গেলে আহত হন অন্তত ২০ জন।
দিরাইয়ে আধিপত্যের লড়াইয়ে অস্ত্রের প্রদর্শনী, গুলিতে আহত ৩
বন্দুকের মহড়ার এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে রাতেই একরারের আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় একরারের ফুফুতো ভাই দবির মিয়া ও তার ছেলে জাফরান মিয়াকে একনলা বন্দুকসহ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ওসি রতন বলছেন, এ ঘটনায় একনলা বন্দুকসহ দুইজনকে আটক করা হলেও অস্ত্র প্রদর্শনকারী ইউপি চেয়ারম্যান একরার হোসেনের ভাই রানা, ভাতিজা রাজীব হোসেন ও ঘনিষ্ট শামীম মিয়াসহ জড়িত বাকিরা পালিয়ে গেছে।
আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।