“এক সপ্তাহ ধরে সীমান্তের ওপারে মর্টার শেল ও গুলির শব্দে আমাদের ভয়ের মধ্যেই দিনরাত কাটছে।”
Published : 28 Jan 2024, 04:38 PM
মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির মধ্যে লাগাতার সংঘর্ষের খবরের মধ্যে একটি গুলি এসে পড়েছে কক্সবাজারের টেকনাফের একটি বাড়িতে।
শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উলুবনিয়া এলাকার নুরুল ইসলামের বাড়িতে এসে গুলিটি পড়লে আতঙ্ক তৈরি হয়।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ রোববার বলেন, “সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির খবর পেয়েছি। ফলে আমরা (বিজিবি) সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি, যাতে নতুন করে কোনো অনুপ্রবেশ না ঘটে।”
গৃহকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, “শনিবার সকাল থেকে উলুবনিয়া সীমান্তের মিয়ানমারের ওপারের মর্টার শেল ও ভারী গুলির শব্দ এপারে ভেসে আসতেছিল। তখন আমরা ভয়ে ও আতঙ্কে নিরাপদে সরে গেছি।
“হঠাৎ দেখি একটা গুলির শব্দ হলো। তখন দেখি আমার মেয়ের জামাইয়ের বসতঘরে টিনের দরজা ছিদ্র হয়ে বাড়িতে ডুকে পড়ে একটি গুলি। আমরা আতঙ্কের মধ্যেই পড়ে গেছি।
পরে বিজিবি সদস্যরা এসে বসত ঘরের উঠান থেকে গুলিটা নিয়ে যায় বলে জানান নুরুল ইসলাম।
উলুবনিয়া সীমান্তের আরেক বাসিন্দা মো. সোলেমান বলেন, “মিয়ানমারের ওপারে গোলাগুলির শব্দে বাড়িঘরে থাকতে পারতেছি না। শনিবার নুরুল ইসলামের বসতঘরে এসে পড়লো একটি গুলি। এক সপ্তাহে ধরে সীমান্তের ওপারে মর্টার শেল ও গুলির শব্দে অনিরাপদ মনে করছি। আমাদের ভয়ের মধ্যেই দিনরাত কাটছে।”
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সিরাজুল মোস্তফা লালু বলেন, “উলুবনিয়া, তুলাতুলি ও কাঞ্জরপাড়া সীমান্তের মিয়ানমারের ওপারের সপ্তাহজুড়ে গোলাগুলিতে ভয়ে আমরা বাড়িঘরে থাকতে পারতেছি না। চিংড়ি ঘেরেও যেতে পারতেছি না।”
তিনি বলেন, “সীমান্তের ওপারে ফায়ার চলাচলের সময় একটি গুলি এপারে উলুবনিয়ার নুরুল ইসলামের বসত ঘরে এসে পড়ল। এখনও সীমান্তের ওপারে চলছে ব্যাপক গোলাগুলি।”
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, ‘সীমান্তের ওপারে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে সকাল-সন্ধ্যায় গুলির শব্দ বেশি পাওয়া যায়।”