খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা উপজেলায় এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগ উঠেছে তার মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে।
পুলিশ বলছে, মেয়ের জামাইয়ের নামে নির্যাতনের মামলা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
রোববার দুপুরে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার তবলছড়ি এলাকায় হোসান আলীকে তার মেয়ের জামাই কামরুল ইসলাম গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার কামরুল আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
ঘটনার বর্ণনায় পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের বলেন, কয়েক বছর আগে জামাইয়ের বিরুদ্ধে পানছড়ির থানায় নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা করেছিলেন হোসেন। তাতে ক্ষুদ্ধ হয়ে শ্বশুরকে খুন করার পরিকল্পনা করেন কামরুল।
এর জেরে খাবারে চেতনাশক ওষুধ দিয়ে অজ্ঞান করে গলায় রশি পেঁচিয়ে হোসেনকে হত্যা করেন কামরুল। পরে লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে শুক্রবার বিকালে হোসেনের লাশ উদ্ধার করে।
হত্যাকাণ্ডে প্ররোচণা ও সহযোগিতার অভিযোগে সিরাজুল ইসলাম পণ্ডিত ও মো. আশরাফুল আলম নামের আরও দুই আসামিকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান।