সড়কে পাহাড় ধসে পড়ায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলার সঙ্গে দীঘিনালা উপজেলা হয়ে খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগ।
Published : 08 Aug 2023, 06:13 PM
টানা সাতদিনের বৃষ্টিতে রাঙামাটিতে বড় কোনো পাহাড়ধসের ঘটনা না ঘটলেও প্রায় দুই শতাধিক স্থানে ছোটবড় ধস ও ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত জেলার ২৩৫টি স্থানে এসব ভাঙন বা ধসের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, এসব ধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৮১টি বসতঘর। যার মধ্যে রয়েছে আশ্রয়ন প্রকল্পের ১০টি ঘরও। এসব ঘটনায় কোনো প্রাণহানী না হলেও আহতের সংখ্যা ১০।
সকালেও শহরের রিজার্ভমুখসহ কয়েকটি স্থানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পাহাড়ের মাটি বসতঘরের ভেতর ঢুকে পড়ে। খবর পেয়ে কোতয়ালি থানার একটি দল দ্রুত সেখানে পৌঁছে ১৭টি পরিবারের ৬০ জনকে উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যায়।
জেলার ২৪২ টি আশ্রয়কেন্দ্রে এ মুহূর্তে অবস্থান করছেন সাড়ে তিন হাজার মানুষ।
এছাড়া ভারি বৃষ্টির কারণে জেলার বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, বরকল এবং কাপ্তাইয়ের বেশ কয়েকটি নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। যেখানে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৩০ হাজার মানুষ।
তীব্র স্রোতের কারণে কর্ণফুলি নদীতে বন্ধ হয়ে গেছে ফেরি চলাচল। সড়কে পাহাড় ধসে পড়ায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলার সঙ্গে দীঘিনালা উপজেলা হয়ে খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগ।
রাঙামাটি আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৬৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে ৪৬ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, যা আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কম।
অন্যদিকে বৃষ্টির কারণে কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা বেড়েছে। পানির প্রবাহ ভালো থাকায় কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন।