ময়মনসিংহে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।
Published : 05 Mar 2024, 06:32 PM
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় এক কৃষক লীগ নেতার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ভাই-ভাতিজাসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তাকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কাকনি ইউনিয়নের কাকনি গ্রাম থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে তারাকান্দা থানার ওসি ওয়াজেদ আলী জানান।
নিহত সাদেক মণ্ডল (৫৫) ওই গ্রামের আরজ আলী মণ্ডলের ছেলে। তিনি উপজেলার কাকনি ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
আটকরা হলেন, সাদেকের ভাই আনোয়ার হোসেন মণ্ডল (৪৫), তার ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৮) ও নাতি আজাদ সজল (২১)।
কাকনি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক তালুকদার বলেন, “পুলিশ মরদেহ যখন উদ্ধার করে তখন দেখেছি সাদেকের জামার বোতাম ছেড়া ছিল ও শরীরে অনেক ধুলাবালি লেগে ছিল।
“এ ছাড়া তাকে হত্যার জন্য সন্ত্রাসী ভাড়া করা হয়েছিল, তার প্রমাণ আছে। এতেই বোঝা যায়, সাদেককে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।”
স্বজনরা জানান, সোমবার বিকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি সাদেক। সকালে বাড়ির পাশে গাছে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
বাবা আত্মহত্যা করেনি দাবি করে সাদেকের ছেলে মাহমুদুল হাসান বলেন, “জমি সংক্রান্ত বিরোধে চাচা আনোয়ার ও তার লোকজন বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখে।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহফুজ সরকার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সাদেকের সঙ্গে তার ভাই আনোয়ারের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ হয়েছে। তবে মীমাংসা হয়নি।
ওসি ওয়াজেদ আলী বলেন, পরিবার যেহেতু হত্যার দাবি করছে, তাই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে, এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে; এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।