নাটোরে ছয় মাস আগে অপহরণ ও হত্যার পর মাটিতে পুঁতে রাখা এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নাটোর সদর উপজেলার রুয়ের ভাগ গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান নাটোর ডিবি পুলিশের ওসি আব্দুল মতিন।
মরদেহটি নাটোর সদর উপজেলার রঘুনাথপুর আমহাটি এলাকার রুপিজ উদ্দিনের ছেলে রুবেল হোসেনের।
ওসি আব্দুল মতিন জানান, ঢাকার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তারেক রহমান ও হৃদয় হোসেনের স্বীকারোক্তিতে আসামি তারেকের বাড়ির পেছন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
আরেক আসামি হৃদয় হোসেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর বাজার এলাকার বাসিন্দা।
এলাকাবাসীর বরাতে ওসি বলেন, “তারেক, হৃদয় ও রুবেল তিন বন্ধু সমকামী ছিলেন। বন্ধুত্বের সম্পর্কের জেরে গত বছরের ১১ নভেম্বর রুবেলকে অপহরণ করে তারেক ও হৃদয়। তাকে রুয়েরভাগে তারেকের বাড়িতে নিয়ে এসে ঘুমের ঔষধ খাওয়ানোর পর হত্যা করে লাশ বাড়ির পেছনে পুঁতে রাখে তারা।
“পরে তারেক ও হৃদয় ঢাকায় গিয়ে রুবেলের বাবার কাছে মোবাইলে অপহরণের কথা জানিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে। তারা বিকাশের মাধ্যমে রুবেলের বাবার কাছে চল্লিশ হাজার টাকাও নেয়।“
পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বলেন, “নাটোর সদর থানায় ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর রুবেলের বাবার করা অপহরণ মামলার তদন্তভার ১০ মে গ্রহণ করে ডিবি পুলিশ। ঢাকার দক্ষিণখান থানায় আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার তারেক এবং হৃদয়কে নাটোরে নিয়ে আসে ডিবি পুলিশ।
“পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে তারেকের বাড়ির পেছন থেকে মাটিতে পুঁতে রাখা রুবেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।“
মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।