আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় ‘জন রন সুয়েটার্স লিমিটেড’ কারখানার প্রধান দরজায় বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।
Published : 21 Nov 2023, 05:05 PM
‘বায়ারদের থেকে কাজের অর্ডার সংগ্রহ করতে না পারায়’ নোটিশ ঝুলিয়ে আশুলিয়ার একটি সোয়েটার কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে শ্রমিকদের অভিযোগ, মালিকপক্ষ কারখানাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন।
মঙ্গলবার সকালে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকার ‘জন রন সুয়েটার্স লিমিটেড’ কারখানার ফটকে বন্ধের এ নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়েছে, “কর্তৃপক্ষ বার বার চেষ্টা করেও বায়ারদের নিকট থেকে কাজের অর্ডার সংগ্রহ করতে পারেনি। এমনকি সাব-কন্ট্রাক্টের কাজও যোগাড় করতে পারেনি। যা মালিকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত।
“এমন পরিস্থিতিতে কারখানা চালু রাখা মোটেই সম্ভব হচ্ছে না। তাই কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ১২ ধারা মোতাবেক অত্র কারখানা বন্ধ বা লে-অফ ঘোষণা করা হল।”
পরে কাজের অর্ডার পাওয়া গেলে বা সাব-কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে কাজ যোগাড় করা সম্ভব হলে কারখানা খোলার তারিখ জানানো হবে বলেও ওই নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
সোয়েটার কারখানার শ্রমিক সাইফুল ইসলাম বলেন, “সোমবারও আমরা কারখানায় কাজ করেছি। তাহলে অর্ডার নাই কিভাবে? সকালে কারখানায় এসে বন্ধের নোটিশ দেখতে পাই।
“আমরা অনেক আগে থেকেই কানাঘুষা শুনেছি কারখানা বিক্রি করে দেবে। মালিকানা বদল হবে, তাই কাজ নেই নাটক সাজিয়ে শ্রমিকদের বের করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।”
বাংলাদেশ গামের্ন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, “কারখানাটিতে প্রায় ১২০০ শ্রমিক কাজ করে। তারা আমাদের জানিয়েছেন, সোমবারও তারা কারখানায় কাজ করেছেন। সকালে কারখানায় গিয়ে বন্ধের নোটিশ দেখে ফিরে গেছেন।
যে কারণে কারখানা বন্ধের নোটিশ দিয়েছে, বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১২ ধারায়
তা ‘অবৈধ’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কাজ যোগাড় করতে না পারাটা কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা। এই ঘটনাটি আমরা সাংগঠনের পক্ষ থেকে আইনগভাবে মোকাবিলা করব।”
কারখানা বন্ধের বিষয়ে জানতে জন রন সুয়েটার্স লিমিটেড কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে কথা বলেন ম্যানেজার (অপারেশন) মনিরুজ্জামান।
কারখানা বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে শ্রমিকদের এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “এটা সঠিক। মালিকানা পরিবর্তন করতে হলে লে-অফ ঘোষণা করতে হয়। ওই কারণে কারখানা বন্ধ দেখানো হয়েছে। এখন মালিকানা পরিবর্তন হবে। যা হবে, নিয়ম অনুযায়ীই হবে।”