ওজোপাডিকো বলছে, সিটি কর্পোরেশনের কাছে তাদের ৫৯ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।
Published : 21 Sep 2022, 12:41 AM
বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় বরিশাল নগরীর ১৫টি সড়কে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি-ওজোপাডিকো সোমবার এই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে।
তবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি মঙ্গলবার টের পেয়েছেন বলে জানান বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস।
ওজোপাডিকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফারুক হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সিটি কর্পোরেশনের কাছে ওজোপাডিকোর ৫৯ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। বকেয়া টাকার জন্য ওজোপাডিকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর আওতাধীন আটটি সড়কের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
সড়কগুলো হলো পলাশপুর সড়ক, বাজার রোড ও পোর্ট রোড, কলেজ রোড, কাউনিয়া ব্রাঞ্চ রোড, নতুন বাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনের সড়ক, নতুল্লাবাদ লুৎফুর রহমান সড়ক এবং উত্তর আমানতগঞ্জ সড়ক।
ওজোপাডিকোর বিক্রয় ও বিতরন বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বলেন, সিটি কর্পোরেশনের কাছে ৫৯ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। বকেয়া আদায়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বকেয়া আদায়ে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে সভাও করা হয়েছে।
“কিন্তু কোনো সমাধান না হওয়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।”
তার অধীনে সাতটি সড়কের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
সড়কগুলো হলো কালিজিরা সড়ক, জিয়া সড়ক, ধান গবেষণা সড়ক, টিয়াখালী সড়ক, কালুশাহ সড়ক, নবগ্রাম সড়ক ও বটতলা।
এসব সড়কের ৩০টি এলাকার শাখা সড়কের বিদ্যুৎ বাতি জ্বলছে না।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ৮০ লাখ টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। এরপরে কোনো নোটিশ না দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এতে ১২টি পানি উত্তোলনের মোটরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
স্বপন আরও বলেন, মঙ্গলবার থেকে বিষয়টি টের পেয়েছেন। পানি উত্তোলন করতে না পারলে নগরীতে পানি সংকট দেখা দেবে। এর সমাধানে বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে।
তবে ওজোপাডিকো ৪২ কোটি ২০ লাখ টাকা পাবে বলে স্বপনের ভাষ্য।
ওজোপাডিকো লিমিটেড বরিশালের পরিচালনা ও সংরক্ষণ সার্কেলের সহকারী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, প্রায় ১০ বছর ধরে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছে না সিটি করপোরেশন। এতে বৃহৎ একটি অংক দাঁড়িয়েছে।
“সেই টাকা উত্তোলন করতে না পেরে মন্ত্রণালয়ের চাপের মুখে রয়েছি। তাই সিটি করপোরেশনের সড়ক বাতির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের অভিযান শুরু হয়েছে। সরকারের কাছে আমাদের জবাবদিহি করতে হয়।”
ওজোপাডিকো পরিচালনা ও সংরক্ষণ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এটিএম তারিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “পাওনা পরিশোধে অসংখ্যবার তাদের চিঠি পাঠানো হয়েছে; কিন্তু সিটি করপোরেশন থেকে আশানুরূপ কোনো সাড়া দেওয়া হয়নি। সর্বশেষ পরিশোধের তারিখ ছিল ১৮ সেপ্টেম্বর।”