ওসি বলেন, “শান্তি সমাবেশের জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হলে বিএনপি হামলা করে।”
Published : 11 Feb 2023, 06:15 PM
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় জামালপুর। এ সময় পুলিশ এসে ফাঁকা গুলি ও কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিএনপির পদযাত্রা এবং আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ঘিরে শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশসহ অন্তত ৪০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় আটক করা হয়েছে বিএনপির ছয়জনকে।
জামালপুর সদর থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, “শান্তি সমাবেশের জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কামালখান মোড়ে জড়ো হলে সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা করে। হামলায় তিতপল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দৌলতুজ্জামান আনসারী ও পুলিশের কনস্টেবল মুক্তার আলীসহ কয়েকজন আহত হয়।
“পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শটগানের ৩৪টি ফাঁকা গুলি এবং ছয়টি কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে।”
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় তিতপল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীসহ ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।
বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন বিকালে দলীয় কার্যালয়ে অভিযোগ করেন, পদযাত্রা কর্মসূচিতে যাওয়ার সময় তিতপল্লার কামাখান মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এ সময় পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ও কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
হামলায় বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন, শরিফ উদ্দিন আকন্দ, আকবর আলী, চান মিয়া, সোহেল তানভীরসহ অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন।
বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আরও বলেন, পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে হানা দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করছে।
সদর উপজেলার ঘোড়াধাপ, দিগপাইত ও বাঁশচড়া ইউনিয়নে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায় বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এতে বিএনপির আরও অন্তত ২০-২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেন ওয়ারেছ আলী মামুন।
এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের কোনো নেতাকর্মী বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেনি। বরং তারাই আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এটা জামায়াত-বিএনপির পুরাতন চরিত্র।
“আজ সারা দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ইউনিয়ন পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ শান্তি সমাবেশে তারা পরিকল্পিতভাবে পদযাত্রার নামে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।“
বিজন কুমার চন্দ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে শান্তি সমাবেশে যারা হামলা চালিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।