একদিনে দুইজন মারা গেলেন।
Published : 16 Mar 2024, 08:40 PM
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাসের আগুনে দগ্ধদের মধ্যে এক শিশু শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছে।
শনিবার সন্ধ্যায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ বছর বয়সী তৈয়বার মৃত্যু হয় বলে জানান ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক হোসাইন ইমাম।
এ নিয়ে কালিয়াকৈরে গ্যাসের আগুনের ঘটনায় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি ৩২ জনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হল। এছাড়া একজন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
ইনস্টিটিউটের আইসিইউ কনসালটেন্ট ডা. একরামুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তৈয়বার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যায়। তার শ্বাসনালীও পোড়ে। গুরুতর অবস্থায় আমাদের আইসিইউতে ভর্তি ছিল সে।”
এদিন সকালে ৪৫ বছর বয়সী মনসুর নামের একজন মারা গেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটে, যার শরীর শতভাগ পুড়ে গিয়েছিল। এর আগে শুক্রবার সকালে সোলাইমান মোল্লা (৪৫) নামের একজন মারা যায়। তার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
বুধবার সন্ধ্যায় ইফতারের আগে আগে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ওই ঘটনা ঘটে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক তেলিরচালা এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা জানান, যে বাসায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে গ্যাস বের হতে থাকা গরম সিলিন্ডার ভেজা চট দিয়ে মুড়িয়ে বাইরে রেখে যান পরিবারের কেউ একজন। স্থানীয়দের অনেকে কৌতূহলী হয়ে এগিয়ে এসেছিলেন কী হচ্ছে সেটা দেখতে। সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বেরিয়ে যে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে, তা বুঝতে পারেনি কেউ।
সে সময় পাশের আরেকটি বাসায় চুলা ধরাতে গেলে পুরো রাস্তায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তাতেই দগ্ধ হয় সবাই।
ওই ঘটনার পর মারাত্মকভাবে দগ্ধ ৩২ জনকে রাতেই ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম শনিবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “আমাদের এখানে ৩২ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। এদের মধ্যে ১৯ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন। রোগীদের অনেকেরই ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে।”
আরও পড়ুন
গাজীপুরে গ্যাসের আগুন: চলে গেলেন আরেকজন
গাজীপুরে দগ্ধদের একজনের মৃত্যু
গাজীপুরে দগ্ধ একজন লাইফ সাপোর্টে, বাসায় ফিরেছেন একজন
গাজীপুরে গ্যাসের আগুনে দগ্ধ বেশিরভাগের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
ভেজা চট পেঁচিয়ে রাখা সিলিন্ডার দেখে কৌতূহলীদের ভিড়, তখনই আগুন