“নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষায় সবাইকে সচেতন হতে হবে,” বলেন প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র।
Published : 19 Apr 2024, 10:36 PM
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের প্রধান সামাজিক উৎসব ‘বৈসু’ উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় দীঘিনালার পোমাং পাড়ায় এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে জুনুতি স্মৃতি পাঠাগার। সেখানে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক আয়োজনও রাখা হয়।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, “পাঠাগার হলো মানুষ গড়ার হাতিয়ার । প্রত্যন্ত জনপদ পোমাং পাড়ায় আলো ছড়াচ্ছে জুনুতি স্মৃতি পাঠাগার । আজকে পাঠাগারের উদ্যোগে বৈসু উপলক্ষে অত্যন্ত বর্ণিল আয়োজন করা হয়েছে।
“এর মাধ্যমে ত্রিপুরাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির চর্চার সুযোগ তৈরি হবে । ত্রিপুরাদের সংস্কৃতি অত্যন্ত উন্নত। কিন্তু ত্রিপুরা সংস্কৃতি ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। ত্রিপুরারা নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে।”
কুজেন্দ্র লাল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সকলের নিজস্ব কৃষ্টি ও সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ তৈরি করেছেন। পার্বত্য এলাকার মানুষ খুব বর্ণিলভাবে বৈসাবি উদ্যাপন করেছে। নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষায় সবাইকে সচেতন হতে হবে।”
জুনুতি স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা কার্তিক ত্রিপুরা বলেন, “ত্রিপুরাদের ঐতিহ্যবাহী বৈসু উদ্যাপন উপলক্ষে ৪ এপ্রিল বিভিন্ন খেলাধুলা শুরু হয়। পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক আয়োজনের মাধ্যমে আজকে এর সমাপনী হল।
“প্রায় দুই সপ্তাহব্যাপী আয়োজনে এতে বিভিন্ন বয়সী মানুষ অংশ নিয়েছে। বৈসু ছাড়া বিভিন্ন দিবসে আগামীতে পাঠাগারের পক্ষ থেকে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
এর আগে প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন অতিথিরা। পরে ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাশেম । উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান সীমা দেওয়ান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ চাকমা, দীঘিনালা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রাজু।