১৯৭৫ সাল থেকে প্রতিবছর এই রিলংপোয়ে (মৈত্রি পানি বর্ষণ) অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানান বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
Published : 16 Apr 2023, 11:22 AM
মারমা বর্ষপঞ্জির ১৩৮৪ সাকক্রয়কে বিদায় দিয়ে ১৩৮৫ সাকক্রয়কে বরণ করে নিতে প্রধান সামাজিক উৎসব ‘সাইংগ্রাইং পোয়েঃ’তে মেতেছেন এই সম্প্রদায়ের মানুষরা।
এই উপলক্ষে বান্দরবানে শনিবার বিকালে রাজার মাঠে জেলা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট ও সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন কমিটির উদ্যোগে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে মৈত্রী পানি বর্ষণ।
সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি হ্লা এ মং মারমার সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা মারমা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ক্য শৈ হ্লা বলেন, মারমা বর্ষপঞ্জী অনুসারে পুরনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ উপলক্ষে বছরে একবার ‘সাংগ্রাইং রিলংপোয়ে’ (মৈত্রি পানি বর্ষণ) উৎসব পালন করা হয়।
“বান্দরবানে এই রিলংপোয়ে ১৯৭৫ সালে প্রথম শুরু হয়েছিল। তখন থেকেই প্রতিবছর এই মৈত্রী পানি বর্ষণ অত্যন্ত জাঁকজমকভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।”
এই সাংস্কৃতিক উৎসবে সন্ত্রাসীদের হামলার হুমকি ছিল জানিয়ে চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা বলেন, “উৎসবের একটি অনুষ্ঠানে হামলার হুমকি কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।”
তিনি সকল জাতি বর্ণধর্ম নির্বিশেষে সচেতন যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে যারা সন্ত্রাসী কর্মাকাণ্ডে জড়িত হবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে মারমা শিল্পী গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন শিল্পীর পরিবেশনায় ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন নাচে-গানে মেতে ওঠে হাজারো তরুণ-তরুণী।
বৃহস্পতিবার থেকে মারমাদের সাংগ্রাইং পোয়ে উৎসব শুরু হয়েছে। শুক্রবার ছিল বৌদ্ধ মূর্তি স্নান। মারমা সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশে ‘সাংগ্রাইং পোয়ে’ চলবে সপ্তাহ ব্যাপী।