অপহরণের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি স্বজনদের।
Published : 08 Dec 2023, 06:28 PM
যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় সেতুর পাশ থেকে ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপহরণের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি স্বজনদের।
শুক্রবার সকালে মনিরামপুর-নেহালপুর সড়কের সাতনল জোড়া সেতুর পাশে মরদেহটি পড়েছিল বলে জানিয়েছেন মনিরামপুর থানার ওসি শেখ মনিরুজ্জামান।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম (৩০) উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়নের পাড়িয়ালী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল হক দফাদারের ছেলে। তিনি ঢাকা কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
জাহাঙ্গীরের চাচাত ভগ্নিপতি মামুনুর রশিদ বলেন, “গণিত বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে জাহাঙ্গীর ঢাকাতে আরএফএল গ্রুপে চাকরি করতেন। ঢাকা কলেজে পড়াশোনার সময় তিনি ছাত্রলীগ করতেন। ছয় মাস আগে তিনি বিয়ে করেন। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে জাহাঙ্গীর ঢাকা থেকে বাসে করে মনিরামপুরে রওনা হন।
“রওনা হওয়ার আগে তিনি বাড়িতে ফোন করে বলেছিলেন, ভোরে মনিরামপুর থেকে তাকে যেন কেউ এসে নিয়ে যান। সে অনুযায়ী স্বজনরা ভোর ৪টার দিকে মনিরামপুর বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করতে থাকেন। তাকে না পেয়ে তারা বাড়ি ফিরে আসেন।”
সকাল ৮টার দিকে সেতুর পাশে মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বজনরা জাহাঙ্গীরকে শনাক্ত করেন বলে তিনি জানান।
কে বা কারা পরিকল্পিতভাবে জাহাঙ্গীরকে অপহরণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ফেলে গেছে বলে দাবি করেছেন নিহতের চাচাত ভাই জাহিদুল ইসলাম।
ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, মরদেহের সুরতহালের সময় শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটনে গোয়েন্দারা এলাকায় কাজ শুরু করেছেন।
মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।