মোহিনী চৌধুরীর স্মৃতিতে একটি সঙ্গীত একাডেমি করারেইচ্ছার কথা জানিয়েছেন কোটালীপাড়া পৌরসভার মেয়র।
Published : 12 Apr 2023, 10:03 PM
‘মুক্তির মন্দির সোপান তলে, কত প্রাণ হল বলিদান’ কালজয়ী এই গানের রচয়িতা মোহিনী চৌধুরীর দুই ছেলে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় পিতৃভূমিতে এসে আবেগাপ্লুত হয়েছেন।
সোমবার কলকাতার বেহালা থেকে কোটালীপাড়া এসে পৌঁছালে তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান কাকাত ভাই অধ্যাপক গৌরাঙ্গ লাল চৌধুরী।
মোহিনী চৌধুরীর বড় ছেলে ভবিষ্যৎ চৌধুরী গীতিকার ও সুরকার এবং ছোট ছেলে দিগ্বিজয় চৌধুরী চিত্রপরিচালক।
মঙ্গলবার কোটালীপাড়া পৌরসভার মেয়রের কার্যালয়ে এ দুই সহোদর মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরার উপস্থিতে মোহনী চৌধুরীর ১১০টি গান নিয়ে লেখা ‘মোহিনীর গানের মেলা’ বইটি কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তির হাতে তুলে দেন।
এরপর তারা তাদের পৈতৃক ভিটা ডহরপাড়া গ্রাম এবং উনশিয়া গ্রামে কবি সুকান্তের পৈতৃক ভিটা ঘুরে দেখেন।
দিগ্বিজয় চৌধুরী বলেন, “আমার পিতার লেখা গান ১৯৪৭ সালের ভারতবর্ষের স্বাধীনতা যুদ্ধে যেতে অনেক যোদ্ধাকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। একইভাবে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অনেক মুক্তিযোদ্ধাই তার গানে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন।
“অনেক দিন পরে আমরা দুই ভাই পিতৃভূমিতে আসতে পেরে খুবই আনন্দিত। এখানের মানুষদের আচার আচরণ ও ভালোবাসায় মুগ্ধ।
মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা বলেন, “বিখ্যাত গীতিকার, সুরকার ও চিত্রপরিচালক মোহিনী চৌধুরীর মতো গুণী ব্যক্তির জন্ম আমাদের এই কোটালীপাড়ায়। এ জন্য আমরা গর্বিত।
“এই মহান ব্যক্তির স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য কোটালীপাড়ায় তার নামে একটি সঙ্গীত একাডেমি করার চিন্তা ভাবনা করছি।”
১৯২০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার ডহরপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মোহিনী চৌধুরী। তার বাবা মতিলাল চৌধুরী ও মাতা গোলাপকামিনী চৌধুরী।
দেশ বিভাগের আগে মোহিনী চৌধুরী সপরিবারে কলকাতা চলে যান। ১৯৮৭ সালের ২১মে কলকাতার বেহালার ইউনিক পার্কের নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।