ময়মনসিংহে ছাদের কার্নিশে উঠার সময় মাহদীন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায় বলে দাবি মাদ্রাসা শিক্ষকের।
Published : 16 Jul 2023, 04:27 PM
‘বাতির আলো দেখতে গিয়ে’ ময়মনসিংহ সদরে একটি মাদ্রাসার ছাদ থেকে পড়ে এক ছাত্রের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিহতের এক সহপাঠীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
শনিবার মধ্যরাতে নগরীর জিলা স্কুল রোড মসজিদ হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে বলে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান।
নিহত ১০ বছর বয়সী মো. মাহদীন হাসান মৃধা ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি গ্রামের মানিক মৃধার ছেলে। সে নাজেরা বিভাগের ছাত্র ছিল।
সহপাঠীদের বরাতে পুলিশ জানায়, রাত ১২টার দিকে মাহদীন তার এক ১৬ বছর বয়সী সহপাঠীকে সঙ্গে নিয়ে মাদ্রাসা ভবনের ছাদে শৌচাগারে যায়। সেখান থেকে পাশের একটি ভবনের লাইটের আলো দেখার জন্য ছাদের কার্নিশে উঠতে চাইলে তাকে সাহায্য করে ওই সহপাঠী। এ সময় অসাবধানতাবশত মাহদীন নিচে পড়ে যায়।
নিচে পড়ার শব্দ শুনে অন্যরা গুরুতর অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থী জাওয়াদ মো. তাসিন বলেন, “রাত ১০টার দিকে সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। ফজরের নামাজের আগে ঘুম থেকে উঠে শুনি মাহদীন মারা গেছে। সে শৌচাগারে যাওয়ার জন্য একজনকে সঙ্গে নিয়ে গেছিল।”
জিলা স্কুল রোড মসজিদ হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক নিশাদ আদনান বলেন, “মাদ্রাসায় ৩৫০ জনের মতো শিক্ষার্থী রয়েছে। মাহদীন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। তার এমন মৃত্যু আমরা মেনে নিতে পারছি না।”
মাহদীন ছাদের কার্নিশে ওঠার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায় বলে দাবি ওই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম হাফেজ আব্দুস সাত্তারেরে।
মাহদীনের মামা মিজানুর রহমান বলেন, “দেড় বছর আগে মাহদীনকে হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। সেখানে সে আবাসিকে থেকে পড়াশোনা করত। আমাদের ধারণা তাকে হত্যার পর ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই আমরা।”
ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, মাহদীনের এক সহপাঠীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে ঘটনার রহস্য বেরিয়ে আসবে।