নিজের নির্বাচনি প্রতীক গামছা ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর বন্দনাও করছেন গানে গানে।
Published : 04 Jan 2024, 09:20 PM
নিজেই গান গেয়ে ভোট চাইছেন শেরপুর-১ আসনের কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের মনোনীত প্রার্থী বারেক বৈদেশী।
বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে দলের বাউল শিল্পীদের নিয়ে ব্যতিক্রম পন্থায় নির্বাচনি প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। তার নিজের নির্বাচনি প্রতীক গামছা ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর বন্দনাও করছেন গানে গানে।
বারেক বৈদেশী রাজনীতির মাঠে আগে তেমন পরিচিতি না হলেও জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ভোটের মাঠে ‘পরিচিত’ হতে শুরু করেছেন। কিন্তু অন্য প্রার্থীদের মত তার তেমন ‘লোকবল’ ও ‘অর্থ’ নেই। ফলে ভোটাররাই তার দলের ‘কর্মী’ বলে দাবি করেছেন এ বাউল শিল্পী।
বাউল গানসহ ভোটকে কেন্দ্র করে তৈরি করা নানা ধরনের গানে গানে ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে দেখা গেছে তাকে। আবার কখনও কখনও নিজের বক্তব্য তুলে ধরছেন ভোটারদের কাছে।
শেরপুর সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভার পাড়া-মহল্লা ওয়ার্ডসহ গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় মিনি ট্রাকে গানের দল নিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। আবার অনেক সময় হেঁটে হাটবাজার, দোকানপাট ও পথচারী এবং ক্ষেতে খামারে কৃষক ও কৃষি শ্রমিকসহ সব শ্রেণীর ভোটারদের মাঝে বিতরণ করছেন লিফলেট।
বাউল শিল্পী বারেক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের গামছা প্রতীকের প্রার্থী। যেহেতু আমার লোকবল কম; অর্থ সম্পদ নাই বললেই চলে। আমি নিজেই গান গেয়ে নিজের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি। এমনকি আমার শিল্পীরা ও আমার সঙ্গে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
“প্রায় ৩০ বছর ধরে বাউল শিল্পী হিসেবে চেষ্টা করেছি গানের মাধ্যমে আপনাদের আত্মার খোরাক দেওয়ার জন্য। এবার যদি আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে, আমি আজীবন তাদের সেবা করে যাব।”
তিনি আরও বলেন, “সারাদেশের মধ্যে শেরপুরে উন্নয়নের কাজ একবারেই কম। আমার নির্বাচনে আসার কারণ হচ্ছে, মানুষ পরিবর্তন চায়। মানুষ এক জিনিস বারবার চায় না, পরিবর্তন চায়। তাই আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি আমার গামছা মার্কা প্রতীক নিয়ে।”
শেরপুর পৌর শহরের দিঘারপাড় এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান খোকার ছেলে বারেক বৈদেশী পাঁচ সন্তানের জনক। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় ছোট থেকেই বাবার সঙ্গে শ্রম বিলিয়ে সংসারের ঘানি টানার কারণে পড়াশোনা খুব একটা হয়ে ওঠেনি। তবে গানের প্রতি ছিল তার প্রচণ্ড ঝোঁক।
প্রখ্যাত বাউল সংগীতশিল্পী সুনীল কর্মকারের কাছে দীক্ষা নিয়ে তিনি এ জগতে প্রবেশের পর ক্রমেই তার পরিচিতি ও অবস্থান ছড়িয়ে পড়ে দেশ জুড়ে। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ বাউল সমিতির যুগ্ম মহাসচিব।
বারেক জানান, সঙ্গীতশিল্পী নকুল কমার বিশ্বাস কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগে যোগ দেওয়ায় তার ডাকে তিনিও ওই দলে যোগ দেন।
বরিশাল-২ (উজিরপুর-বানারীপাড়া) আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের হয়ে প্রার্থী হয়েছেন 'ইত্যাদি' ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া কণ্ঠশিল্পী নকুল কুমার বিশ্বাস।