চট্টগ্রামে বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতাল নির্মাণে চীনের সঙ্গে চুক্তি সোমবার

চীনা প্রতিনিধি দল ১২ দিন ধরে এ হাসপাতাল ভবন নির্মাণে প্রকল্প এলাকায় খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে কাজ করেছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 March 2023, 06:49 PM
Updated : 11 March 2023, 06:49 PM

চট্টগ্রামে বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতাল নির্মাণে প্রকল্প এলাকায় প্রাথমিক কারিগরি কার্যক্রম শেষ করেছে চীনা প্রতিনিধি দল। আগামী সোমবার এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে। 

মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাছেই স্টাফ কোয়ার্টার পাশে দেড়শ শয্যার এ হাসপাতাল নির্মাণে ভবনের নকশা, জায়গার পরিমাপ খতিয়ে দেখাসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কাজ শেষে শনিবার একটি কার্যবিবরণীও সই করেছে দলটি।

আগামী সোমবার বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে এ হাসপাতাল নির্মাণে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আাহসান।

এরপর হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু করবেন চীনা প্রকৌশলীরা।

সব ঠিক থাকলে আগামী মাসে অবকাঠামোগত কাজ শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

এদিন চমেক হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে ঢাকায় চীনা দূতাবাসের সেকেন্ড সেক্রেটারি শি চেনসহ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বৈঠক হয়। এতে পরিচালক শামীমসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে ভার্চুায়লি যুক্ত ছিলেন শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, চীনা প্রতিনিধি দল ১২ দিন ধরে বিশেষায়িত বার্ন হাসপাতাল তৈরির বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। তারা স্থাপত্য নকশা, জায়গা পরিদর্শনসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করেছেন।

‘‘শনিবার কার্যবিবরণী স্বাক্ষর হয়েছে, সোমবার মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর হবে। এরপর যেকোনো মুহূর্তে হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু হবে। সব ঠিক থাকলে সামনের মাস থেকে কাজ শুরু হবে।’’

তিনি বলেন, বন্দরনগরীর চট্টগ্রাম এবং এর আশেপাশে বড় শিল্প জোন রয়েছে। এ অঞ্চলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। চমেক হাসপাতালে বার্ন ইউনিট থাকলেও সেখানে আধুনিক যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে। রোগীর তুলনায় বেডও কম। সে কারণে একটি স্পেলাইজড বার্ন হাসপাতাল প্রয়োজন।

তিনি জানান, শুধু অবকাঠামো নির্মাণই নয়, হাসপাতালে সেবাদাতাদেরও হাতে কলমে প্রশিক্ষণ এবং বিশেষায়িত অস্ত্রোপচার কক্ষসহ আধুনিক সব যন্ত্রপাতিও স্থাপন করে দিবে চীন সরকার। ফলে এটি পোড়া রোগীরা উপকার পাবেন।

শি চেন সাংবাদিকদের বলেন, জায়গা পরিদর্শনসহ আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ হয়েছে। এখন বাকি শুধু দুই দেশের চুক্তি স্বাক্ষর। চুক্তির পর হাসপাতালটি নির্মাণ করতে ২২ মাস সময় প্রয়োজন হবে। তারমধ্যেই প্রয়োজনীয় আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করা সম্ভব হবে।

বৈঠকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার, বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক খান, চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, চমেক হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. অং সুই প্রু মারমা, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, চমেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।